কক্সবাজারের পেকুয়ায় জনপ্রিয় ইসলামী বক্তা মিজানুর রহমান আজহারী মাহফিলে আসাকে কেন্দ্র করে মানুষের ঢল নেমেছে। আজ শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাত ৮টায় পেকুয়ায় মরহুম মাওলানা শহীদ উল্লাহ স্মৃতি সংসদ ও সমাজ উন্নয়ন পরিষদের যৌথ উদ্যোগে এই মাহফিলে প্রধান বক্তা হিসেবে আলোচনা করবেন তিনি।
এদিকে মাহফিল উপলক্ষে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আয়োজক কমিটি ও প্রশাসন। মোতায়েন করা হয়েছে বিপুল পুলিশ। এছাড়া মাহফিল উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতেই কয়েক হাজার মানুষ মাহফিলের প্যান্ডেলে অবস্থান নিয়েছেন।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকার মিজানুর রহমান আজহারীকে মাহফিল করতে না দেওয়া ও দেশ ত্যাগে বাধ্য করা হয়েছিল। জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের পর এই প্রথম ঢাকার বাইরে মাহফিল হওয়ায় দূর-দূরান্ত থেকে পেকুয়ার ওয়াজ মাহফিলে লাখো মানুষের জমায়েত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান আয়োজকরা।
মাহফিল কমিটির জানায়, মিজানুর রহমান আজহারী ছাড়াও জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদসহ জনপ্রিয় ইসলামিক বক্তাগণ বক্তব্য রাখবেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, সাবেক মন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমদও এ মাহফিলে বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে। তবে তার একান্ত সচিব ছফওয়ানুল করিম জানান, তিনি ভার্চুয়ালি ভিডিও কলে বক্তব্য রাখবেন।
এ বিষয়ে পেকুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা বলেন, পেকুয়ায় বাংলাদেশের আলোচিত ও জনপ্রিয় ইসলামিক বক্তা মিজানুর রহমান আজহারীর মাহফিলে আগত মুসল্লিদের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। অনেক লোক জমায়েত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বিধায় তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখা পুলিশের রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব।
তিনি বলেন, এরই মধ্যে পেকুয়া থানা পুলিশের বিশেষ টিম মাঠে রয়েছে। বাড়তি নিরাপত্তার জন্য কক্সবাজার জেলা পুলিশের সহযোগিতায় ১০০ সদস্যদের পুলিশের বিশেষ টিম পেকুয়ায় কাজে নেমে পড়েছে। পুলিশের পাশাপাশি সেনা বাহিনী, র্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থা সদস্যরা মাঠে রয়েছে, সাদা পোশাকে গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
এদিকে ২৬ ডিসেম্বর ইসলামী স্কলার ড. মিজানুর রহমান আজহারী দেশে এসেই তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে স্ট্যাটাস শেয়ার করে বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, নিরাপদে দেশে এসে পৌঁছালাম। দীর্ঘ পাঁচ বছর পর, বাধাহীনভাবে আবারও প্রিয় মাতৃভূমিতে তাফসিরুল কোরআনের মহতি আয়োজনে অংশগ্রহণ করছি। উদ্বোধনী প্রোগ্রাম হিসেবে আগামীকাল (আজ শুক্রবার) কক্সবাজারে পেকুয়ার বৃহত্তর সাবেক গুলদি তাফসির ময়দানে আলোচনা পেশ করব। এটি একটি ওয়ার্মআপ প্রোগ্রাম। মূলত নতুন বছর ২০২৫-এর জানুয়ারি থেকে বিভাগীয় সফর শুরু হবে ইনশাআল্লাহ।’
তিনি আরো লেখেন, ‘প্রতিটি বিভাগেই একটি করে প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করার ইচ্ছে আছে। রাব্বে কারিম নব উদ্যমে এই দাওয়াতি অভিযাত্রায় যুক্ত রাখুন। আমাদের প্রচেষ্টায় ভরপুর বারাকাহ দিন। প্রজন্ম-ক্ষুধা নিবারণে বুদ্ধিবৃত্তিক উপায়ে ইসলামের শাশ্বত বাণী উপস্থাপনের তাওফিক দিন।’
এনইউ/জই