টেকনাফে বিকল হওয়া জাহাজের ৫৯ জন যাত্রী অবশেষে বিকল্প ব্যবস্থায় নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছেছেন। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে দুটি বাসে করে তারা কক্সবাজার পৌঁছান।
এর আগে সেন্টমার্টিন থেকে কক্সবাজারে ফেরার পথে সাগরে ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায় এমভি গ্রিন লাইন-১ নামের একটি জাহাজ। পরে সেটি টেকনাফের বাহারছড়া এলাকায় নোঙর করা হয়। এতে আটকা পড়েন যাত্রীরা।
সেসময় গ্রিন লাইনের কক্সবাজারের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সুলতান জানান, সেন্টমার্টিন থেকে যাত্রা শুরু করে জাহাজটি টেকনাফের বাহারছড়া এলাকায় পৌঁছালে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটে হঠাৎ জেনারেটর বন্ধ হয়ে যায়। ফলে বন্ধ হয়ে যায় বিদ্যুৎ সরবরাহও। তখনও কক্সবাজার পৌঁছাতে দরকার ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা। এমতাবস্থায় রাতের আঁধারে পর্যটকদের নিরাপত্তা বিবেচনা করে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের কচ্ছপিয়া এলাকায় জাহাজটি নোঙর করে।
এর আগে বিকাল ৪ টার দিকে সেন্টমার্টিন থেকে ৭১ জন পর্যটক নিয়ে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা করেন গ্রিন লাইন জাহাজ। পরে প্রায় আড়াই ঘণ্টা জাহাজ চালানোর পরে সাগরের ঢেউের পানি পড়ে বৈদ্যুতিক সম্যসায় যান্ত্রিক ত্রুটি সৃষ্টি হয়ে। এতে জাহাজটি কক্সবাজার উদ্দেশ্যে রওনা না করে কোন রকম মেরিন ড্রাইভের বড় ডেইলের সমুদ্র সৈকতে ভীড়ে।
পরে খবর পেয়ে কোস্ট গার্ড, নৌবাহিনী, পুলিশের টিম ও টেকনাফ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সহ গ্রিন লাইন জাহাজের কতৃর্পক্ষ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পর্যটকদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করে।
এনইউ/জই