কক্সবাজারের রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নস্থ অফিসের চর সিকদারপাড়া থেকে মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে আপন চাচার হাতে অপহরণের শিকার শিশু আফিয়া জান্নাত আরোয়াকে (০৭) উদ্ধার করেছে র্যাব।
অপহৃত আরোয়া ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডস্থ অফিসের চর সিকদারপাড়া এলাকার বাসিন্দা আনোয়ারুল হকের মেয়ে।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে প্রধান সড়কের লিংকরোড এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। একই সাথে অপহরণে জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, একই এলাকার নুরুল আবছারের পুত্র হাসনাইনুল হক প্রকাশ নাঈম (২৩) এবং পূর্ব দ্বীপ ফতেখাঁরকুলের আব্দুস ছোবহানের পুত্র মোঃ শাহীন (২৫)।
বুধবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান।
অপহৃত শিশুর পরিবারের উদ্ধৃতি দিয়ে র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, গত ১১ নভেম্বর মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে রামুর ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের অফিসের চর সিকদারপাড়া এলাকাস্থ এমদাদুল উলুম মাদ্রাসা গেইটের সামনে থেকে আফিয়া জান্নাত আরোয়া অপহরণের শিকার হয়।
অপহরণকারী চক্র সিএনজি যোগে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে ওইদিন সকাল ১১টার দিকে শিশুর মায়ের মোবাইলে কল করে পাঁচ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে অপহরণকারীরা। না দিলে শিশু আরোয়াকে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেন। এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে রামু থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
অন্যদিকে অপহরণকারীরা শিশু আরোয়াকে প্রথমে ঈদগাঁও নিয়ে যায়। সেখান থেকে চৌফলদন্ডীর একটি বাড়িতে আটকে রাখে। আবার সেখান থেকে নিয়ে যায় কুতুপালং। শেষে কুতুপালং থেকে কক্সবাজার কলাতলী হয়ে লিংকরোড যায়।
র্যাব কর্মকর্তা কামরুজ্জামান জানান, পরিবারের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে অবস্থান নিশ্চিত হয়ে অপহৃত শিশুকে উদ্ধার ও দুই অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করকে সক্ষম হয় র্যাব।
গ্রেপ্তার অপহরণকারী শিশু আরোয়ার চাচা নাঈম জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তিনি বিদেশ যাওয়ার জন্য পরিবারের কাছে টাকা চাইলে টাকা না দেয়ায় বন্ধু শাহীনকে নিয়ে ভাতিজিকে অপহরণ করে।
অপহরণের পর ওই শিশুকে ব্যান্ডেজ পরিয়ে পরিবারের কাছে ছবি পাঠায়। যাতে ভয়ে টাকা দেন। গ্রেপ্তার দুইজনকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
এমএ/জই