বিএনপির সাবেক স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর জানাজায় যাওয়ার পথে বাধা সৃষ্টি ও অপহরণ চেষ্টাসহ নানা অভিযোগে রাউজানের সাবেক সংসদ সদস্য ফজলে করিম চৌধুরী, সাবেক মন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও আনিসুল ইসলাম মাহমুদসহ ৫৩ জনের নাম উল্লেখ করে রাউজান থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত ৩ নভেম্বর মামলাটি দায়ের করেন হাটহাজারী ইস্টর্ন আবাসিক এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ আবদুল মালেক।
মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালে বিএনপির সাবেক স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর জানাজায় অংশ নিতে বাধা, তার বাড়ির দিকে যাওয়ার সময় শোকাহত মানুষকে পথে আটকিয়ে মারধর ও নির্যাতন এবং বাদীকে অপহরণ করে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলায় অন্যান্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন জনপ্রতিনিধি, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
মামলার এজাহারে বলা হয়, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর জানাজায় অংশ নিতে আমি রাউজান গহিরা যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হই। এ সময় দেখতে পাই, সাধারণ মানুষ যেন জানাজায় অংশ নিতে না পারে সেজন্য ১৬ নম্বর আসামির নির্দেশে আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ সংগঠনের শত শত নেতাকর্মী দা, কিরিচসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে রাউজান গহিরার বিভিন্ন পয়ন্টে শত শত পুলিশের সহযোগিতায় সাধারণ পথচারীদের উপর নির্মম নির্যাতন চালাচ্ছে। পথে পথে ছাত্রলীগ-যুবলীগের সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন গাড়িতে হামলা করে ককটেল বিস্ফোরণ করে জনমনে ভীতি তৈরির চেষ্টা করে। তাদের যাকে সন্দেহ হয় তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধর করা হয়।
আমি বিভিন্ন স্থানের বাধা পেরিয়ে রাউজান গহিরা বাজারে পৌঁছামাত্র আসামিরা আমাকে চড়, থাপ্পড় ও ঘুষি মারতে মারতে পাশের একটি দোকান ঘরে নিয়ে মাটিতে ফেলে গাছের বাটাম দিয়ে আঘাত করতে থাকে। এক পর্যায়ে দুই আসামি আমার হাত-পা-মুখ বেঁধে ফেলে। তার আমাকে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলার হুমকি প্রদান করে। পরে হাত, পা ও চোখ বেঁধে একটি গাড়িতে উঠিয়ে প্রায় আধাঘণ্টা গাড়ি চালিয়ে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে তারা আমার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে নির্মম নির্যাতন চালায়। তারা চাঁদার জন্য কোমরের পেছনে ছুরি দিয়ে খুঁচিয়ে শরীরের মাংস তুলে ফেলে। পরে আমার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে চাঁদা দিয়ে মুক্তি পাই।
বাদীর অভিযোগ, তৎকালীন হাটহাজারী থানার ওসি তার স্ত্রীকে কোনো সহায়তা করেননি বলেও এজহাওে উল্লেখ করেন।
এনইউ/জই