সরকার পতনের পর অস্থিরতার সুযোগ কাজে লাগিয়ে কক্সবাজার পৌরসভার ১২ নং ওয়ার্ড কলাতলীতে চলছে পাহাড় কাটার মহোৎসব। অনেকে পাহাড়ের মাটি কেটে নির্মাণ করছেন স্থাপনা । একারণে ঝুঁকিতে পড়েছে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারী লোকজন। প্রশাসনের নজর এড়াতে রাতের আঁধারে কাটা হয় পাহাড়।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, কলাতলী আদর্শ গ্রামের বাসিন্দা মৃত মূছার ছেলে প্রবাসী মো.নুরুল আমিন পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করে স্থাপনা নির্মাণ করছেন। এই নুরুল আমিন দীর্ঘদিন ধরে পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি ও স্থাপনা নির্মাণ করে আসছে। প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করে দিনের পর দিন এই অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে সে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পরিবেশ কর্মীরা বলছেন, পাহাড় কাটার ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এই কারণে ঝুঁকিতে রয়েছে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারী বাসিন্দারা। চলতি মৌসুমে পাহাড় ধসের কারণে কক্সবাজার জেলায় প্রায় ২০ জনের অধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।
এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী লোকজন জানান, প্রশাসনের নজর এড়াতে সরকারি ছুটির দিনে পাহাড়খেকোরা মাটি কাটার দিন হিসেবে বেছে নেন । ছুটির দিনে রাতভর কাটা হয় পাহাড়। অতিরিক্ত মাটি কাটার ফলে পাহাড়ের নিচে অবস্থিত বাড়ির উপর মাটি এসে পড়ছে। যার ফলে সামান্য বৃষ্টি হলে পাহাড়ের মাটি এসে পড়ে। বর্ষা মৌসুমে পাহাড় ধ্বসের আতঙ্কে ঘুমাতে পারেনা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত লোকজন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আমিন বলেন, নিজের প্রয়োজন আছে তাই মাটি কাটছি। আমার জমি আমি যেমন ইচ্ছে করতে পারি।
ধরিত্রী রক্ষায় আমরা ( ধরা) কক্সবাজারের সভাপতি ফজলুল কাদের চৌধুরী বলেন, পাহাড় কাটা সম্পূর্ণ বেআইনী ও অবৈধ কাজ। একাজে জড়িতদের কঠিন শাস্তি হওয়া উচিত।
পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজারের সহকারী পরিচালক জমির উদ্দিন বলেন, যদি পাহাড় কাটার সঙ্গে কেউ জড়িত থাকে, তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এনইউ/জই