উখিয়া ক্যাম্প থেকে নতুন করে ভাসানচরে যাচ্ছেন আরও ৮৯৮ জন রোহিঙ্গা। এর মধ্যে ৫০৫ জন নতুন এবং ৩৯৩ জন ভাসানচর থেকে ক্যাম্পে আত্মীয় স্বজনের কাছে বেড়াতে আসা রোহিঙ্গা।
দীর্ঘ ৭ মাস বিরতির পর নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর প্রক্রিয়া আবারো শুরু হয়েছে। ২৪তম ধাপে ৫০৫ জন নতুন রোহিঙ্গাকে ভাসানচর স্থানান্তর করা হয়। পাশাপাশি আগে স্থানান্তর হওয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বেড়াতে আসা ৩৯৩ জনসহ মোট ৮৯৮ জন রোহিঙ্গাকে পাঠানো হয়৷
সোমবার (২৮ অক্টোবর) সকাল থেকেই ২৪তম ধাপে ভাসানচর যেতে আগ্রহী উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পের রোহিঙ্গারা উখিয়া কলেজে স্থাপিত অস্থায়ী ট্রানজিট পয়েন্টে জড়ো হতে শুরু করেন। রাতে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে পরদিন নৌবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় জাহাজযোগে ভাসানচর পৌঁছাবেন এসব রোহিঙ্গারা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (যুগ্মসচিব) মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা নয়ন।
তিনি জানান, ৫০৫ জন নতুন রোহিঙ্গাকে ভাসানচর স্থানান্তর করা হয়। পাশাপাশি আগে স্থানান্তর হওয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বেড়াতে আসা ৩৯৩ জনসহ মোট ৮৯৮ জন রোহিঙ্গাকে পাঠানো হয়েছে ভাসানচর। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া।
সোমবার রাত ৮টার দিকে ট্রানজিট পয়েন্টে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে ২০টির অধিক বাস ও ট্রাক অবস্থান করছে।
১৫নং রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে পরিবার নিয়ে ভাসানচর যাচ্ছেন রোহিঙ্গা যুবক আবুল কালাম (২৭)। তিনি বলেন, ক্যাম্পে আতঙ্কে থাকি সন্ত্রাসীদের কারণে, এখানে পরিবার নিয়ে থাকার নিরাপত্তা নেই, তাই আমরা চলে যাচ্ছি ভাসানচর।
উখিয়ার ১৫ ও ১৬ রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ২৭টি পরিবারের ২৫৩ জন রোহিঙ্গা ভাসানচর যেতে যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে বলে ক্যাম্প ইনচার্জ এর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে।
সর্বশেষ গত ১ মার্চ, বানৌজা পেঙ্গুইন, ডলফিন, টুনা ও বানৌজা তিমি নামে চারটি জাহাজে করে ২৪তম ধাপে ১ হাজার ২৪২ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নেওয়া হয়।
নোয়াখালীর ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় ২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গা আসেন। ২৪ ধাপে এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজার রোহিঙ্গা ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে।
এমএ/জই