নিজের প্রাইভেটকার ভাঙচুর করার অভিযোগে মামলা করতে কর্ণফুলী থানায় এসে উল্টো আটক হয়েছেন উপজেলার ইমরান হোসেন বাবলু (২৯) নামে এক যুবক। তিনি একই এলাকার জাফর আহমদ (৫২) হত্যা মামলার প্রধান আসামি। তবে ওই মামলায় তিনি জামিনে থাকলেও আরেক সিআর মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি বলে জানা যায়। এ ঘটনায় আটক অপর দুই যুবকের নাম মো. দেলোয়ার ও ইকবাল। আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিএমপি বন্দর জোনের উপ পুলিশ কমিশনার (ডিসি) শাকিলা সোলতানা।
আটক ইমরান হোসেন বাবলু কর্ণফুলীর চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া (৬ নম্বর ওয়ার্ড) আবদুল মোনাফ বাড়ির রেজাউল করিমের ছেলে। তার মায়ের নাম সাজেদা বেগম। বাবলুর অপর নাম সৈয়দ মোহাম্মদ ইমরান।
জানা যায়, রাত সাড়ে ৭ টার দিকে কর্ণফুলী উপজেলার চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের আলী হোসেন এলাকায় একটি প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। এতে প্রাইভেটকারের সামনের গ্লাস ভেঙে যায় ও মোটরসাইকেলেরও কিছুটা ক্ষতি হয়। প্রাইভেটকারের চালক ছিলেন ইমরান হোসেন বাবলু। এ ঘটনায় সে থানায় মামলা করতে আসেন। মোটরসাইকেল আরোহী দুইজনও থানায় আসেন।
পরে পুলিশ বিশ্বস্ত সূত্র ও তথ্য উপাত্ত যাচাই-বাছাই করতে গিয়ে জানতে পারেন মামলা করতে আসা প্রাইভেটকার চালক যুবক (ভিকটিম) বাবলু কর্ণফুলীর জাফর হত্যা মামলা ও চেক প্রতারণা মামলার আসামি। পুলিশের খোঁজে তাঁর সত্যতাও মিলে।
আরও তথ্য মিলে, গত ২০১৭ সালের ২৪ আগস্ট চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া ফকির মসজিদের সামনে সংঘটিত জাফর আহমদ হত্যাকা-ের প্রধান আসামি ইমরান হোসেন বাবু। যার কর্ণফুলী থানা মামলা নং-৩৭/৩০৪।
এনইউ/জই
মামলা করতে এসেই আটক হত্যা মামলার আসামি
কর্ণফুলী প্রতিনিধি