কক্সবাজারে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুইপাড়ার বাসিন্দাদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুই পাড়ার লোকজন রাস্তায় নেমে এসে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। এতে উভয় পক্ষে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় অন্তত শতাধিক লোকজন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের সমিতিপাড়া এবং কুতুবদিয়া পাড়ার মধ্যে এই সংঘর্ষ শুরু হয়।
বেশকিছু সময় ধরে তাদের মধ্যে চলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। এসময় আগুন দেওয়া হয় রাস্তায়, পুড়িয়ে ফেলা হয় মোটরসাইকেল, লুট করা হয় দোকানপাটও৷
পরে সন্ধ্যার দিকে সেনাবাহিনী, র্যাব এবং পুলিশের যৌথ অভিযানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
এসময় রামু সেনানিবাসের ৯ ইস্ট বেঙ্গলের অধিনায়ক লে. কর্নেল তানভীর হোসেন এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার অনুরোধ জানান সকলকে। তিনি বলেন, যারা অন্যায়ের সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনোভাবেই এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা বিনষ্ট করা যাবে না।
এর আগে, সমিতিপাড়া এবং কুতুবদিয়াপাড়ার লোকজন একে অপরকে অভিযোগ করে বক্তব্য দিতে থাকেন। সমিতিপাড়ার লোকজনের অভিযোগ, কুতুবদিয়াপাড়ার হাজার হাজার লোকজন সমিতিপাড়ার লোকজনের ওপর সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে। দোকানপাট লুট করেছে। অনেককে মারধর করেছে।
অন্যদিকে পাল্টা অভিযোগ কুতুবদিয়াপাড়ার লোকজনের। তারা জানান, ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে অবৈধ বসবাসরত রোহিঙ্গাসহ তারা সমিতিপাড়ার লোকজনের সাথে অন্যায় করেছে,মারধর করেছে। হামলায় আহতদের রাস্তা দিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেয়নি। পরে ট্রলার নিয়ে বিকল্পভাবে নদীপথে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রকিবুজ্জামান জানান – পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে। দুই পক্ষের লোকজনকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বলা হয়েছে।
এমএ/ জই