মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪

মহেশখালীতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, চিংড়ি ঘেরে কোটি টাকার ক্ষতি

কক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রবল বর্ষণের কারণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে তলিয়ে যাচ্ছে মানুষের ঘরবাড়ি, মাছের ঘের এবং ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশংকা করছেন স্থানীয়রা।

গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে উপজেলার বড়মহেশখালীর ফকিরাকাটা, শুকরিয়া পাড়া, ধলঘাটার সুতরিয়া, মুহুরীঘোনা, সরইতলা, পন্ডিতের ডেইল, কালারমারছড়ার পাহাড়তলী, ঝাপুয়া, পৌরসভার চরপাড়া, ঘোনাপাড়া, পুটিবিলা, ছোটমহেশখালীর তেলীপাড়া, উম্বনিয়াপাড়া, ঠাকুরতলা, মুদিরছড়া, শাপলাপুরের বারিয়াপাড়া, জেএমঘাট, ষাইটমারা, কুতুবজোমের তাজিয়াকাটা, ঘটিভাঙ্গা, সোনাদিয়া ও ডেম্বুনি পাড়া সহ বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

এছাড়াও উজানের পানিতে শতাধিক বাড়ি-ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ধ্বসে পড়েছে একাধিক মাটির ঘরের দেওয়াল। পাহাড় ভেঙ্গে শতাধিক পানের বরজ নষ্ট হয়ে গেছে।

বৃষ্টির পানি এবং জোয়ারের পানি একাকার হয়ে তলিয়ে গেছে কয়েকটি চিংড়ি ঘের। এছাড়া কয়েক কোটি টাকার চিংড়ি মাছ পানিতে ভেসে গেছে বলে জানান প্রান্তিক চিংড়ি চাষীরা।

মাতারবাড়ির স্থানীয় বাসিন্দা আবুল কালাম বলেন- দীর্ঘদিন ধরে টানা বৃষ্টির কারণে সমুদ্রে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। জোয়ারের পানি প্রবেশ করে চিংড়ি ঘের তলিয়ে গেছে। এতে লাখ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

কালারমারছড়া এলাকার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন- অতি বৃষ্টিতে আমার বাড়ির দেওয়াল ধসে পড়েছে৷ অন্যদিকে পাহাড় ধসের আশংকাও রয়েছে।

ধলঘাটা মহুরি ঘোনা এলাকার ফজল কাদের বলেন- বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় সাগরে পানির উচ্চতা বেড়েছে, যার কারণে জোয়ার হলে পানি সরাসরি এলাকায় প্রবেশ করছে।

গতকাল থেকে অনেক বাড়ির উঠানে এক হাঁটু পানি জমে আছে। জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে চিংড়ি ঘেরের লাখ লাখ টাকার মাছ৷

এদিকে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীকি মারমা সোমবার (২৬ আগষ্ট) সকালে বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। এসময় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করার জন্য স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দিয়েছেন।

এমএ/ জই

সর্বশেষ

এই বিভাগের আরও খবর