টানা ৩ দিনের প্রবল বর্ষণে সীমান্তের তুমব্রখালের উপচেপড়া পানিতে তুমব্রু বাজারসহ ৭ গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
রোববার রাত থেকে বুধবার এ তিন দিনের বষর্ণের ফলে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সীমান্ত পাহাড় ও বাংলাদেশের নাইক্ষ্যংছড়ির সীমান্ত পাহাড়ের পানির ঢলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
এছাড়া ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্ত সড়কসহ ৩ টি সড়কে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে একই সাথে।
খবর স্থানীয় সূত্রের।
তুমব্রু বাজার ব্যবসায়ী নুরুজ্জামান, শাহজাহানসহ একাধিক ব্যবসায়ী জানান,তাদের দোকান পানিতে তলিয়ে গেছে। এখন তারা বিপাকে।
৩ দিন ধরে ভারী বষর্ষের ফলে উজান থেকে আসা পানির ঢলে এ অবস্থা হয়।
কোনার পাড়ার বানিন্দা শাহ আলম জানান,বুধবার সকাল থেকে তাদের বাড়িতে পানি।
কোমর পানিতে তারা বড় বিপদে। তাদের কোথাও ঠাই নেই। তাই বাড়িতেি অবস্থান করছেন।
বাজার পাড়ার বাসিন্দা ডা. মোগাম্মদ হোছাইন বুধবার বিকেলে এ প্রতিবেদককে বলেন, তুমব্রু খালের তীর উফচে এখন ৭ গ্রাম পানিতে তলিযে গেছে।
এ পানি বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত পাহাড় থেকে আসা। তিনব আরো বলেন তার নিজের বাড়িতে হাঁটু পানি এখন।
স্থানীয়রা জানান, গত সোমবার পা পিছলে তুমব্রু খালে পড়ে ঢলের পানিতে ভেসে যাওয়া ৫ম শ্রেণির ছাত্র মো; ইমরানকে ৩ দিনেও খোঁজে পান নি পরিবার। যা তার পরিবার শোকে মাতম।
তবে তারা এখনও আশা ছাড়ে নি তাদের সন্তানের লাশ খোঁজে পাওয়ার আশা।
অপর দিকে উপজেলার উত্তরাংশের বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলম কোম্পানী বলেন,৩ দিনের টানা বর্ষণে তার এলাকার নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে।
বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদের পাশে ভেঙ্গে যাওয়ায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
এছাড়া প্রবল এ বর্ষণে পাহাড় ধসের আশংকা করছেন তিনি। বিশেষ করে মৌসূমী ধানের বীজতলা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকদের দৃ:চিন্তা বেড়েছে।
এভাবে টানা বর্ষণে পুরো উপজেলায় নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে বলে ৫ ইউনিয়নের একাধিক কৃষক জানিয়েছেন এ প্রতিবেদককে।
অপর দিকে রামু নাইক্ষ্যংছড়ি সড়কের নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবি স্কুল সংলগ্ন বেইলী ব্রীজ দিয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে বুধবার সকাল থেকে।
সে কারণে সড়কে চলাচলকারী গাড়ি ও যাত্রীদের দুর্ভোগ বেড়ে এখন বহুগুন কষ্টে তারা। যাত্রিদের দাবী দ্রুত সংস্কার চায় তারা।
ঘুমধুমের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন,তার এলাকার সীমান্ত সড়ক বুধবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ধান চাষের বীজতলা নষ্টের আশাংকা করছেন তিনি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এনামুল হক বলেন তিনদিন ধরে টানা বর্ষণ এখনও চলমান । তাই বীজতলা বা আগাম রোপা ফসলের ক্ষতি হবে কিনা অথবা কতটুকু হবে পরে জানাতে পারবেন আগে নয়।
নাইক্ষংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, উপজেলার সর্বত্র ঢলের পানিতে নিম্নাঞ্চল ডুবে যাওয়ার বিষয়ে খোঁজখবর রাখছেন।
তুমব্রু সহ কয়েক স্থান পরিদর্শনও করেছেন। কোন অঘটন ঘটলে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত আছে প্রশাসন।
এমএ/ জই