কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার ঘটনায় কক্সবাজারের চকরিয়া থানায় গত সোমবার একটি মামলা হয়েছে।
এই মামলায় ২২৮ জনকে অজ্ঞাত করে আসামি করা হয়েছে।
শনিবার (২৭ জুলাই) রাত ৯ টায় রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভিডিও ফুটেজ দেখে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মিঠুন সিংহ জানিয়েছে।
জানা গেছে, নাশকতার মামলায় এই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দফায় দফায় বেশ কয়দিন বিশেষ অভিযান চালিয়ে জামায়াত, যুবদল, ছাত্রশিবির এবং ছাত্রদলের নেতাসহ ৯ জনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন, চকরিয়া উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক হাবিবুল্লাহ মিজবাহ, কক্সবাজার জেলা ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি বর্তমান জামায়াত নেতা কফিল উদ্দিন, শিবির নেতা বোরহান উদ্দিন, তওহিদুল ইসলাম, আবু তোফায়েল প্রকাশ বাবু, হারবাং ইউনিয়ন যুবদলের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাসান, সাদ্দাম হোসেন, পেকুয়া উপজেলার মগনামা এলাকার মো. রিদুয়ান, মোহামুদুল হাসান কায়েস।
দুই পাড়ের মিল বন্ধন করতে পারে চাকলা ঘাটের একটি ব্রিজ এসআই মিঠুন সিংহ জানান, গোয়েন্দা তথ্য ও ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কোন নিরীহ লোক যেন হয়রানি না হয় এ জন্য যাচাই বাছাই করা হচ্ছে।
এদিকে চকরিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, আটকৃতদের বিরুদ্ধে মোবাইলে সরকারবিরোধী ও নাশকতার উস্কানিসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন পোস্ট প্রচার করেছে। এমন অভিযোগের ভিক্তিতে তাদের আটক করা হয়েছে।
সূত্রে জানা গেছে , দায়িত্ব পালনকালে পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনায় চকরিয়ায় একটি মামলা করেছে পুলিশ।
চকরিয়া থানার ওসি শেখ মো. আলী বলেন, আন্দোলনের নামে কিছু দুর্বৃত্ত চকরিয়ার প্রধান সড়ক অবরোধ করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করলে পুলিশ বাধা দেয়।
এ সময় তারা পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় ২২৮ জনকে আসামি করে চকরিয়া থানায় একটি মামলা করেছে।
এ মামলায় ইতিমধ্যে ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এমএ/ জই