রামু উপজেলার গর্জনিয়া বাঁকখালী ব্রীজ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৮ হাজার পিস ইয়াবা টেবলেটসহ একজন মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৫’র সদস্যরা।
রোববার সন্ধ্যার পর ক্রেতা সেজে অভিনব কায়দায় র্যাব-১৫ এসব ইয়াবা জব্দের অভিযানে নামে। কারবারী দল টের পেয়ে পালাতে গিয়েও শেষ রক্ষা হয় নি র্যাব এর আভিযানিক দলের কাছে।
র্যাবের দেয়া তথ্য মতে,তারা মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে বদ্ধ পরিকর।
মাদক কারবারীরা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে এ্যাডভান্স টিম গঠন’সহ ছদ্মবেশ ও নানাবিধ অভিনব পন্থায় দেশের বিভিন্ন জায়গায় মাদক ছড়িয়ে দিচ্ছে।
কেননা যুব সমাজ মাদকাসক্ত হয়ে বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ছে। দেশব্যাপী মাদকের বিস্তাররোধে র্যাব-১৫ প্রতিনিয়তই মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনাসহ আন্তরিকতার সঙ্গে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১৫, কক্সবাজার এর আভিযানিক দলটি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে, কক্সবাজার জেলার রামু থানাধীন কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন ৩নং ওয়ার্ডস্থ তিতার পাড়া এলাকায় গর্জনীয়া-বাঁকখালী ব্রীজের উপর একজন ব্যক্তি মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে।
এ সংবাদের ভিত্তিতে গত ১৪ জুলাই রোববার রাত ৮ টার সময় র্যাব-১৫, ব্যাটালিয়ন সদরের একটি চৌকস আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযান পরিচালনাকালে র্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে কৌশলে পালানোর চেষ্টাকালে মোঃ শফিউল আলম নামে এক মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত ব্যক্তির ডান হাতে থাকা একটি কালো রংয়ের পলিথিনের ব্যাগের ভিতর থেকে সর্বমোট ৮,০০০ (আট হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেন তদারা।
গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারীর বিস্তারিত পরিচয়-মোঃ শফিউল আলম (২৪)। সে রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের তিতারপাড়া গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামী দীর্ঘদিন যাবৎ মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট সীমান্তবর্তী এলাকা হতে সংগ্রহ করে কক্সবাজার বিভিন্ন এলাকায় বিক্রয় করে আসছিল।
উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য ইয়াবাসহ ধৃত মাদক কারবারীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে কক্সবাজার জেলার রামু থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।
এমএ/ জই