দক্ষিণ চট্টগ্রামের মইজ্জারটেক এলাকায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ করে অবস্থান নিয়েছেন সোশ্যাল ইসলামিসহ বিভিন্ন ব্যাংক থেকে চাকরিচ্যুত ব্যাংকাররা। রোববার (২৪ নভেম্বর) সকাল ৮টার পর থেকে তারা সড়কে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ করেন। এসময় তারা চাকরিতে পুনর্বহালের একদফা দাবিতে কাফনের কাপড় পরে মহাসড়কে শুয়ে পড়েন। এতে মহাসড়কের উভয় পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়ে দুর্ভোগে পড়েন অফিসগামী মানুষ।
জানা যায়, ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে থাকা বিভিন্ন ইসলামি ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে নতুন পর্ষদ গঠন করা হয়। নতুন পর্ষদ দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে প্রায় ১০০০ কর্মকর্তা ছাঁটাই করে। যারা এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে থাকার সময় নিয়োগ পেয়েছিলেন এবং যাদের অধিকাংশের বাড়ি পটিয়াসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায়।
অবরোধ চলাকালে চাকরি হারানো কর্মকর্তারা বলেন, কোনো রকম যাচাই বাছাই না করে নতুন পর্ষদ গণহারে ছাঁটাই করেছে, যা আমানবিকতার সর্বোচ্চ সীমা অতিক্রম করেছে। এতগুলো মানুষ ও তাদের পরিবারকে তারা পথে বসিয়েছে। যদি অযোগ্য কাউকে আগের পর্ষদ নিয়োগ দেয় তাহলে তা যাচাই বাছাই করা হউক বা অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা নেয়া হউক। কিন্তু তা না করে এভাবে চাকরিচ্যুত করা মোটেও সমীচীন নয়। এটা স্পষ্টতই প্রতিহিংসামূলক আচরণ। বক্তারা চাকরিচ্যুতদের শীঘ্রই পুনর্বহালের দাবি জানান, অন্যথায় রাজপথে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন।
এদিকে মহাসড়কে আটকে পড়া অফিসগামী লোকজন বলছেন, অবরোধে কষ্ট হলেও এটা আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ ও রুজি রুটির আন্দোলন। তাই সরকারের উচিত দ্রুত বিষয়টির একটি সুষ্ঠু সমাধান করা।
উল্লেখ্য, গত ১৯ আগস্ট ইসলামি ব্যাংক নিয়োগ পাওয়া ২৫০ জনের নিয়োগ বাতিল করে। এছাড়া ৩১ অক্টোবর সোশ্যাল ইসলামি ব্যাংক ৬৭২ জন এবং ইউনিয়ন ব্যাংক ২৬২ জনকে চাকরিচ্যুত করে। এছাড়া ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংক ১৯৪ জনকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি এবং ইউসিবি ১০০ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায়।
এনইউ/জই