তোশাখানা দুর্নীতির আরেক মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবিকে সাজা দিয়েছে পাকিস্তানের একটি আদালত। রায়ে তাঁরা উভয়কে ১৪ বছর করে কারাদন্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
গতকাল মঙ্গলবারই আরেক মামলায় ইমরানকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। রাষ্ট্রীয় গোপন নথি ফাঁসের এই মামলায় একই সাজা দেওয়া হয়েছে তাঁর সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশিকে।
এর আগে গত বছরের আগস্টে তোশাখানা দুর্নীতির আরেক মামলায় ইমরানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
বুধবার(৩১ জানুয়ারি) পাকিস্তানের জবাবদিহি আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সাজার রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে ইমরান ও বুশরাকে ১০ বছরের জন্য যে কোন সরকারি পদে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ ছাড়া দুজনের প্রত্যেককে ৭৮৭ মিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি জরিমানা করা হয়।
রায় ঘোষণার সময় ইমরান আদালতে হাজির ছিলেন। তবে তাঁর স্ত্রী বুশরা আজ আদালতে হাজির হননি।
আগামী ৮ ফেব্রুয়ারির অনুষ্টিত হতে যাচ্ছে দেশটির সাধারণ নির্বাচন।
সরকারি দমনপীড়নের মধ্যে এই নির্বাচনে নিজেদের প্রতীক ছাড়াই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে ইমরানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)।
এদিকে এসব রায়ের স্বচ্ছতাসহ আদালতের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আইনবিশেষজ্ঞদের অনেকে।
উল্লেখ্য, আগের কয়েকটি মামলায় ইমরান খান রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দী রয়েছেন। তোশাখানা দুর্নীতির যে মামলায় সাজা হলো এন বিচার কাজ কারাগারেই শেষ করা হয়।