বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

তুলসীর বক্তব্য ‘অতিরন্জিত’, প্রশ্ন এড়িয়ে গেলেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র

বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ইস্যূ

অনলাইন ডেস্ক

বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ইসূতে দুই মার্কিন প্রতিনিধির বক্তব্য দু’রকম।

তুলসী গ্যাবার্ড গতকাল ভারতীয় মিডিয়াকে বলেছেন ‘বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিপীড়ন ও হত্যা করা হচ্ছে। বলেছেন ‘ইসলামপন্হি সন্ত্রাসীদের হুমকি এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বৈশ্বিক তৎপরতা একই আদর্শ ও লক্ষ্য দ্বার পরিচালিত হয়। সেই আদর্শ ও লক্ষ্য হলো ইসলামপন্থী খিলাফতের মাধ্যমে শাসন করা।যদিও এ বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ সনকার। সরকার গতকালই এক বিবৃতিতে বলেছে তুলসী গার্ডের বক্তব্যে পুরো বাংলাদেশকে অন্যায় ও অতিরন্জিতভাবে উপস্হাপন করা হয়েছে।বিবৃতিতে বলা হয় গ্যাবার্ডের বক্তব্য কোন নির্দিষ্ট প্রমাণ বা অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে করা হয়নি।

অন্যদিকে, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে সংখ্যালঘু নিরাপত্তা বিষয়ক এক সাংবাদিকের প্রশ্নের সরাসরি কোন উত্তর দেননি।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নবনিযুক্ত মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বিষয়গুলোকে কূটনৈতিক আলোচনার বিষয় উল্লেখ করে আগাম কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান। দেশটির স্থানীয় সময় সোমবার (১৭ মার্চ) নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এভাবেই প্রতিক্রিয়া জানান ট্যামি ব্রুস।

সোমবারের ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নকারী বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন করেন। তিনি বলেন, মার্কিন নির্বাচনের কয়েকদিন আগে তখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রার্থী ছিলেন। তিনি বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর আক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। এখন যেহেতু পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও প্রায় ৬০ দিন ধরে দায়িত্বপালন করছেন, সেই হিসেবে বাংলাদেশে হিন্দুদের পরিস্থিতি সম্পর্কে তার মূল্যায়ন কী এবং তিনি কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন?

এর জবাবে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেন, আচ্ছা, আবারও বলছি, আপনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কথা বলছেন যে— অন্য দেশে কী ঘটছে তা নির্দিষ্ট কিছু দিক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং ট্রাম্পপ্রশাসন কীভাবে দেখে থাকে…

এই পর্যায়ে প্রশ্নকারী বিষয়টি বাংলাদেশ সম্পর্কিত বলে উল্লেখ করেন। এর জবাবে ট্যামি ব্রুস বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী অবশ্যই এই বিষয়ে নেওয়া সিদ্ধান্তের প্রকৃতি সম্পর্কে তার দৃষ্টিভঙ্গি অনুসরণ করেন।

ট্যামি বলেছেন, যখন আলোচনা, কূটনৈতিক বিবেচনা এবং এর সঙ্গে জড়িত পক্ষগুলোর মধ্যে কথোপকথন এবং কী ঘটতে পারে সেই কথা আসে, তখন আমি এখানে অনুমান করে বলতে চাই না যে ফলাফল কী হবে। আপনিও চান না যে আমি সেটা করি। আমি মনে করি সবচেয়ে ভালো কাজ হবে…।

পরবর্তীতে ওই প্রশ্নকারী আবারও নতুন করে তার প্রশ্নটি করতে পারবেন কিনা জানতে চান।

এর জবাবে দুঃখিত বলেন ট্যামি ব্রুস। তিনি বলেন, আমি যা উত্তর দেবো না তা হলো— সরকার থেকে সরকার পর্যায়ে কূটনৈতিক বিবেচনা অথবা একটি নির্দিষ্ট দেশে কী ঘটছে সে সম্পর্কে কোনও মনোভাব প্রকাশ এবং এমন কোনও পদ্ধতিতে কথা বলা যা কূটনৈতিক ধরণের কথোপকথনের মধ্যে পড়ে এবং স্পষ্টতই এসব আমি বলতে পারি না।

চাটগাঁর চোখ/জই

সর্বশেষ

এই বিভাগের আরও খবর