সরকারি হাসপাতালের ভেতরেই ডাক্তারকে এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে রোগীর ছেলেকে।
ভারতে কলকাতার আরজি কর হাসপাতালের এক ঘটনায় এখনও দেশ তোলপাড়। সুপ্রিম কোর্টে এই বিষয়ক মামলাও চলছে।
শীর্ষ আদালত দেশজুড়ে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা সুরক্ষিত করতে একাধিক নির্দেশও দিয়েছে। এরই মধ্যে মারাত্মক ঘটনা ঘটে গেল চেন্নাইয়ে।
চেন্নাইয়ের কলাইনার সেন্টেনারি হাসপাতালের এই ঘটনায় আবারও চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল।.
হাসপাতাল সূত্রে খবর, ধৃতর মা ক্যানসার ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বুধবার সকালে ওই ওয়ার্ডেই রোগী দেখছিলেন ডাঃ বালাজি। সেই সময়ই আচমকা সেখানে ঢুকে তাঁর ওপর আক্রমণ করে ভিগনেশ নামের যুবক। পরপর সাতবার ছুরি মারে ডাক্তারকে। এই মুহূর্তে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন তিনি।
মারাত্মক ঘটনা ঘটিয়ে ভিগনেশ পালানোর চেষ্টা করেছিল বটে, কিন্তু হাসপাতালের বাকি কর্মীরা তাঁকে ধরে ফেলে এবং পুলিশ ডেকে তাঁদের হাতে তুলে দেয়। পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই ডাক্তারের বিরুদ্ধে মাকে ভুল ওষুধ দেওয়ার অভিযোগ করেছিল ভিগনেশ। সেই রাগেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে সে। এই ঘটনায় প্রচণ্ড উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন।
আহত চিকিৎসক যাতে উপযুক্ত চিকিৎসা পান তা খতিয়ে দেখার স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত দ্রুত শেষ করে দোষীর কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
ওই চিকিৎসকের বুকে, কপালে, কানে ছুরির আঘাত রয়েছে। বিগত কয়েক মাস ধরে তিনি ওই ক্যানসার রোগীর চিকিৎসা করছিলেন। বুধবার তাঁর ছেলের কাছে খবর যায় যে মায়ের শরীর আরও খারাপ হয়েছে।
এই খবর শুনেই হাসপাতালে যায় যুবক। তবে কীভাবে যে ছুরি নিয়ে সরাসরি ক্যানসার বিভাগে চলে গেল, কেন তাঁকে কোথাও কোনও জায়গায় আটকানো হল না, এই প্রশ্ন উঠেছে। যদিও হাসপাতালের নিরাপত্তায় গাফিলতি ছিল তা মানতে নারাজ সরকার।
রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ঘটনার খবর জানতে পেরেই যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ওই ডাক্তারকে দ্রুত সুস্থ করার চেষ্টাও করা হচ্ছে। আর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে যাতে আর কোনও হাসপাতালে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে। পুলিশকে আরও কড়া হতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর এও আশ্বাস, রোগী এবং চিকিৎসক উভয়ের সুরক্ষায় যাতে কোনও গলদ না থাকে সেই প্রচেষ্টা আরও জোরদারভাবে করা হচ্ছে।
এই মুহূর্তে এই ঘটনার প্রতিবাদে আংশিক কর্মবিরতি শুরু করেছেন হাসপাতালের ডাক্তাররা। তবে জরুরি পরিষেবা চালু রয়েছে।
এনইউ/জই