ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপসহ বিভিন্ন রোগে ভোগা রোগীদের জন্য এবং ইদানিংকালে স্বাস্থ্য সচেতনদের জন্য রুটিকে কম বিপদের খাবার হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
ময়দার থেকে আটার রুটি ভাল! কিন্তু আটার রুটিকে আরও বেশি পুষ্টিকর বানাবেন কী ভাবে?
আটার রুটিকেও আরও স্বাস্থ্যকর করে তোলা যায় কি?
পুষ্টিবিদেরা বলছেন আটার রুটি আরও স্বাস্থ্যকর করে তোলার জন্য আটার সঙ্গে পাঁচ ধরনের স্বাস্থ্যকর উপাদান মেশানো যেতে পারে।
ময়দা খেতে বারণ করছেন চিকিৎসকেরা। এর পরিবর্তে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বেশি ফাইবার যুক্ত আটা খাওয়ার। কারণ ফাইবার স্বাস্থ্যের জন্য যেমন ভাল, তেমনই ময়দার তুলনায় বেশি স্বাস্থ্যকরও।
কিন্তু আটার রুটিকেও আরও স্বাস্থ্যকর করে তোলা যায় কি? পুষ্টিবিদেরা বলছেন আটার রুটি আরও স্বাস্থ্যকর করে তোলার জন্য আটার সঙ্গে পাঁচ ধরনের স্বাস্থ্যকর উপাদান মেশানো যেতে পারে।
১। সজনে পাতা : সজনে পাতায় আছে ভিটামিন এ এবং আয়রন। যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। আবার সজনে পাতায় রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টসও। যা রোগ দূরে রাখে। ১ কাপ আটায় ১-২ টেবিল চামচ রোদে শুকিয়ে গুঁড়িয়ে নেওয়া সজনেপাতা মিশিয়ে আটা মেখে নিন। তাই দিয়ে বানিয়ে ফেলুন রুটি।
২। হলুদ : হলুদেও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস আছে। রয়েছে প্রদাহ নাশক উপাদান। ১ কাপ আটায় ১ চা-চামচ হলুদগুঁড়ো মিশিয়ে আটা মাখুন।
৩। জোয়ান : জোয়ান হজমে সহায়ক। আবার জোয়ান পেট ফাঁপার মতো সমস্যা অস্থিসন্ধির ব্যথাও কমাতে সাহায্য করে। ১ চা-চামচ জোয়ান শুকনো কড়ায় হালকা ভেজে নিয়ে ১ কাপ আটায় মিশিয়ে মেখে নিন। রুটি সুস্বাদুও হবে খেতে।
৪। তিসি বীজ : তিসি বীজে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। যা হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে। কোলেস্টেরলও কম রাখে। ১ কাপ আটায় ১ টেবিল চামচ তিসি বীজ শুকনো কড়ায় ভেজে গুঁড়িয়ে দিয়ে দিন। তাই দিয়ে আটা মেখে রুটি বানিয়ে নিন।
৫। মেথি : মেথি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। ১ টেবিল চামচ মেথি গুঁড়িয়ে নিয়ে ১ কাপ আটায় মিশিয়ে মাখুন। তবে মেথির রুটির স্বাদ সামান্য তেঁতো হবে। টক স্বাদের তরকারির সঙ্গে ভাল লাগবে।