বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে (হাসপাতালে) শিশুদের ঠান্ডাজনিত রোগীতে ঠাঁসাঠাসি। এ রোগের প্রকোপ আশংকাজনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালের ১ বেড়ে ২/৩ জন করে রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। বর্তমানে ৩১ সীটের এ হাসপাতালে ৬০ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। মেঝেতেও রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে।
গতকাল রোববার ( ২২ সেপ্টেম্বর) দিনে ও আগের দিন শনিবার সন্ধ্যায় সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে এ দৃশ্য দেখতে পান এ প্রতিবেদক।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায় হাসপাতালটি মিয়ানমার সীমান্ত ঘেঁষা হওয়ায় নিজ উপজেলা ছাড়াও সীমান্তে অপর রামু উপজেলার পুর্বাঞ্চলীয় ৩ ইউনিয়ন তথা কচ্ছপিয়া,গর্জনিয়া ও কাউয়ারখোপের লক্ষাধিক মানুষ এখানে সেবা নিতে আসে।
সব মিলে দমপ্রায় দেড় লক্ষ মানুষ সেবা নেন এখানে। বিপরীতে উপজেলা একমাত্র হাসপাকালটি ৩১ শষ্যা বিশিষ্ট হওয়া দুর্যোগকালে রোগীদের সেবা দেয়া খু্বই কষ্ট হয়।
অপর দিকে ২০১৮ সালে এ হাসপাতলটিকে ৫০ শষ্যা করা হলেও সুযোগ-সুবিধা বাড়নো হয়নি। এখানে ডাক্তারের শূন্য রয়েছে ১৭ টি। তবে বর্তমানে কর্মরত ডাক্তার আছেন মাত্র ২ জন।
অন্যান্য পদের মধ্যে নার্স,আয়া,টেকনেশিয়ান ম্যান সহ সব পদে নাই আর নাই ছাড়া আছে বলতে পারছেন কেউ।
সরেজমিন পরিদর্শনকালে হাসপাতালটিতে ৬০ জন রোগীর মধ্যে রোগিদের মধ্যে ৫০ জন রোগী ঠান্ডাজনিত রোগে কাতরাচ্ছে। যাদের ৯৯ ভাগ রোগী শিশু। এ ছাড়া ডায়রিয়া ও ম্যালেরিয়া রোগীও দেখা গেছে এখানে।
স্থানীয় আদর্শ গ্রাম থেকে আসা ৪ বছর বয়সী রোগী সোহানের মা খুরশিদা বেগম বলেন,তার সন্তানের নিউমোনিয়া হয়েছে ১ সপ্তাহ। গরীব সংসারে সব কিছুতে টানাপোড়েন। এ কারণে উন্নত হাসপাতালে নেয়া তার সম্ভব হচ্ছে না। বাকী রোগীর অভিভাবকদের ও একই অবস্থা।
তার মতে এই হাসপাতালে ডাক্তার,নার্স,আয়া,রক্তপরীক্ষার ব্যবস্থার সংকটের উত্তরণ করা দরকার। নইলে মানুষ চিকিৎসা সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে-আরো হবে।
এ বিষয়ে হাসপাতালের টিএইচও ডা এন জেড ছলিম বলেন, গত কয়েকদিন ধরে প্রচন্ড গরমের কারণে ঠান্ডা জনিত রোগী বাড়ছে দিন দিন। তিল পরিমান জায়গা নেই হাসপাতালে। আর রোগীর বিপরীতে হাসপাতালে পর্যাপ্ত ডাক্তার ও নার্স না থাকলেও সব রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে এই দুই চিকিৎসক।
তিনি আরো বলেন,তবুও মানবিক কারণে
রাত-দিন সেবা দিচ্ছেন তারা। এছাড়া অন্য উপজেলার রোগীরা চিকিৎসা নিতে আসায় ঔষধ সংকটেও আছে তারা।
এমএ/ জই