শীতকালীন সবজিতে ভরপুর বাজার, তবে কিছুদিন দাম কম থাকলেও এবার একটু একটু বাড়ছে। একইসঙ্গে বাড়ছে মাছ-মুরগির দামও। চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট, রেয়াজুদ্দিন বাজার ও হালিশহর বাজার ঘুরে দেখা মিলেছে এমন চিত্রের।
নগরীর বহদ্দারহাট ও রেয়াজুদ্দিন বাজারে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ১৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সোনালি কক মুরগির দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ৩৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহ ব্যবধানে সোনালি হাইব্রিড ৩২০ টাকা, লাল লেয়ার মুরগি ৩০০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা ও দেশি মুরগি ৫২০ টাকা দামেই বিক্রি হচ্ছে।
পাশাপাশি মাছের বাজারও চড়া রয়েছে। এসব বাজারে ৫০০ গ্রামের ইলিশ ১ হাজার ১০০ টাকা, ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের ১ হাজার ৭০০ টাকা ও ১ কেজি ওজনের ইলিশ ২ হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোতে প্রতিকেজি শিং মাছ চাষের (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, রুই দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, দেশি মাগুর ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা, মৃগেল ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, চাষের পাঙাস ২০০ থেকে ২৩০ টাকা, চিংড়ি ৭৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, বোয়াল ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, বড় কাতল ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, পোয়া ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কই চাষের ২২০ থেকে ২৩০ টাকা, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১ হাজার ৩০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি ৫০০ টাকা, পাঁচ মিশালি ২২০ টাকা, রূপচাঁদা ১ হাজার ২০০ টাকা, বড় বাইম ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা, দেশি কই ১ হাজার ২০০ টাকা, শোল ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, আইড় ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, বেলে ৮০০ টাকা, কোরাল ৭০০ টাকা ও কাজলি মাছ ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।রেয়াজুদ্দিন বাজারে দেখা যায়, গরুর মাংস কেজিপ্রতি ৬৫০ থেকে ৭৮০ টাকা, গরুর কলিজা ৭৮০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা ও খাসির মাংস কেজিপ্রতি ১ হাজার ১৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা, হাঁসের ডিম ২২০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিমের হালি ৯০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
এদিকে শীতকালীন সবজির দাম মাঝখানে কিছুদিন থাকলেও আবার বাড়ছে। বাজার ঘুরে দেখা যায়, গোল বেগুন প্রতি কেজি ৫০ টাকা। এ ছাড়া ঝিঙা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, পেঁয়াজের ফুল প্রতি মুঠো ১০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৪০ টাকা, শালগম প্রতি কেজি ২০ টাকা, মূলা প্রতি কেজি ২০ টাকা, টমেটো প্রতি কেজি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বরবটি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৮০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, বিচিওয়ালা শিম প্রতি কেজি ৬০ টাকা, সাধারণ শিম প্রতি কেজি ৩০ টাকা, মটরশুঁটি প্রতি কেজি ১০০ টাকা, ফুলকপি ও বাঁধাকপি প্রতি পিস ২০ টাকা, আলু প্রতি কেজি ৩০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ২০ টাকা, ক্ষিরা প্রতি কেজি ৪০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ৫০ টাকা এবং কাঁচা টমেটো প্রতি কেজি ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এসব বাজারে আসা বেশ কয়েকজন ক্রেতা জানান, মাঝখানে সবকিছুর দাম মোটামুটি একটু কমায় স্বস্তি মিললেও সেটি বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। ভরা মৌসুমেও কেন দাম বাড়ছে সেটাই বুঝতে পারছি না। তারা এসবের পেছনে কোনো কারসাজি আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে বলেন।
এনইউ/জই