কক্সবাজারের চৌফলদণ্ডীতে ৩০ একর জায়গায় নির্মাণ করা হচ্ছে লবণ গবেষণা ইনস্টিটিউট। এতে ব্যয় হবে ১৫৪ কোটি টাকা। প্রকল্প প্রস্তাবটি বর্তমানে অর্থ মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। এছাড়া লবণ চাষিদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে নীতিমালা প্রণয়ন এবং লবণ বোর্ড গঠনসহ নানা বিষয়ে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে লবণ শিল্পের অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং পরে সদর উপজেলার চৌফলদণ্ডীতে লবণ মাঠ ও প্রস্তাবিত লবণ গবেষণা ইনস্টিটিউটের স্থান পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
এ সময় চৌফলদণ্ডীতে স্থানীয় চাষিদের কাছে তাদের সমস্যার কথা শুনতে চান উপদেষ্টা। চাষিরা বর্তমানে লবণের ন্যায্যমূল্য না পাওয়া, দালাল চক্রের দৌরাত্ম্য, চাষের জন্য খাসজমি বন্দোবস্ত না পাওয়াসহ নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন। উপদেষ্টা আদিলুর তাদের বলেন, লবণ উৎপাদন ও গুণগত মান বাড়াতে সরকার পাইলট প্রকল্প হাতে নিয়েছে। চৌফলদণ্ডীতে লবণ গবেষণা ইনস্টিটিউট গড়ে তোলা হচ্ছে।
বিগত ৬৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ রেকর্ড পরিমাণ লবণ উৎপাদনের তথ্য দিয়ে শিল্প মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব জাকিয়া সুলতানা বলেন, পাইলটিং প্রকল্পের মাধ্যমে দেশে লবণ উৎপাদন ও গুণগত মান বাড়বে। তবে চাষিরাও যাতে ন্যায্যমূল্য পান, সেই লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে।
এ সময় কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্ উদ্দিন, জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ ও বিসিকের কক্সবাজার আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক মো. জাফর ইকবালসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিসিক সংশ্লিষ্টরা জানান, লবণ উৎপাদন বাড়াতে চৌফলদণ্ডীতে ভারত, চীন ও জাপানের চাষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে লবণ উৎপাদনের একটি পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে লবণ শিল্পের উন্নয়ন কার্যালয়।
এনইউ/জই