শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫

ফার্স্ট সিকিউরিটি এখন ফার্স্ট ইনসিকিউরিটি ব্যাংক!

আরো ৫ শতাধিক কর্মী ছাঁটাই

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রথম দফায় ঋণ জালিয়াতির অভিযোগে ১৯৪ জন কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করার পর এবার ৫৪৫ জন শিক্ষানবিশ কর্মকর্তাকে ছাঁটাই করলো ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংক পিএলসি (এফএসআইবি)।

গতকাল বৃহস্পতিবার ব্যাংকটির মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান কাউসার উল আলমের স্বাক্ষরিত ‘টার্মিনেশন লেটার’ পান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। ফলে ব্যাংকটি নামে ফার্স্ট সিকিউরিটি হলেও কাজে ফার্স্ট ইনসিকিউরিটিতে পরিণত হয়েছে।

সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে অফিস থেকে বের হওয়ার আগ মুহূর্তে এসব লেটার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও তাদের শাখাগুলোতে মেইল করে পাঠানো হয়। হঠাৎ এসব লেটার হাতে পেয়ে অনেক কর্মকর্তা ভেঙে পড়েন। তাদের সহকর্মীরাও কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন। বিভিন্ন শাখায় কথা বলে এমনটাই জানা গেছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, একটি ব্রাঞ্চ থেকে চাকরি হারানো ৩ জন কর্মকর্তাকে বিদায় জানাচ্ছেন তাদের সহকর্মীরা। এসময় সহকর্মীদের কান্না করতেও দেখা যায়। আবেগঘন ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর এভাবে গণহারে চাকরিচ্যুত করায় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

জানা যায়, চাকরি হারানো ৫৪৫ জন কর্মকর্তা ২০২৪ সালের বিভিন্ন সময় যোগদান করেছিলেন। তাদের চাকরি স্থায়ী হয়নি।

উল্লেখ, ৫ আগস্ট পট পরিবর্তনের আগে এফএসআইবিএলসহ আরো কয়েকটি ব্যাংক এস আলম শিল্পগ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম মাসুদের মালিকানাধীন ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে বাংলাদেশ ব্যাংক সবগুলো ব্যাংকের এস আলম নিয়ন্ত্রিত পর্ষদ ভেঙে দিয়ে নতুন পর্ষদ গঠন করে। নতুন পর্ষদ দায়িত্ব নেয়ার পর ব্যাংকের এমডি পদে রদবদল আনে। সম্প্রতি এফএসআইবিএলের এমডিসহ আরো কয়েকটি ব্যাংকের এমডিকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়। আর নতুন ভারপ্রাপ্ত এমডি এসেই ৫৪৫ জনকে চাকরিচ্যুত করলেন।
এর আগে গত ১৯ আগস্ট ইসলামি ব্যাংক নিয়োগ পাওয়া ২৫০ জনের নিয়োগ বাতিল করে। এছাড়া ৩১ অক্টোবর সোশ্যাল ইসলামি ব্যাংক ৬৭২ জনকে এবং ইউনিয়ন ব্যাংক ২৬২ জনকে চাকরিচ্যুত করে। এছাড়া ইউসিবি ১০০ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায়।

এনইউ/জই

সর্বশেষ

এই বিভাগের আরও খবর