শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫

আমদানি-রপ্তানি পণ্য খালাসে যা করা বাধ্যতামূলক

চাটগাঁর চোখ ডেস্ক

আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে আমদানি ও রপ্তানি পণ্য খালাসে সাতটি সরকারি সংস্থার সার্টিফিকেট, লাইসেন্স এবং পারমিট (সিএলপি) বাধ্যতামূলকভাবে ‘বাংলাদেশ সিঙ্গেল উইন্ডো’ (বিএসডব্লিউ) সিস্টেমের মাধ্যমে জমা দিতে হবে বলে জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গতকাল এ সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করা হয়।

এনবিআর’র বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, সরকার ঘোষণা করেছে ২০২৫ সালের ৩১ জানুয়ারির পর সাতটি সরকারি সংস্থার সিএলপি ম্যানুয়ালি আর গ্রহণ করা হবে না। সংস্থাগুলো হলো- ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর (ডিজিডিএ), রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিডি), বিস্ফোরক অধিদপ্তর, বাংলাদেশ ন্যাশনাল অথরিটি ফর কেমিক্যাল উইপন্স কনভেনশন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ এবং পরিবেশ অধিদপ্তর।

এনবিআর কর্তৃক বাস্তবায়িত বিএসডব্লিউ সিস্টেমটি একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম যা সিএলপি আবেদন এবং প্রক্রিয়াকরণকে সহজতর করার জন্য তৈরি করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আমদানিকারক এবং রপ্তানিকারকরা তাদের বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (বিআইএন) ব্যবহার করে বিএসডব্লিউ সিস্টেমে (Website: bswnbr.gov.bd) নিবন্ধন করতে পারবেন এবং প্রয়োজনীয় সমস্ত নথি ডিজিটালভাবে জমা দিতে পারবেন।

সরকার ইতোমধ্যেই এই সিস্টেমের বেশ কয়েকটি সুবিধা তুলে ধরেছে, যার মধ্যে রয়েছে এই সিস্টেম ব্যবহারের ফলে একটি কমন প্ল্যাটফর্মে আমদানি-রপ্তানি পণ্যের জন্য প্রযোজ্য সার্টিফিকেট, লাইসেন্স এবং পারমিট-সংক্রান্ত সব কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা কর্তৃক যুগপৎভাবে অনলাইনে সম্পন্ন করা, সরকারি কাজে ব্যক্তিগত যোগাযোগ (হিউম্যান ইন্টারেকশন) না থাকায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত, পণ্য আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে সময় ও ব্যয় হ্রাস, দেশি-বিদেশী ব্যবসায়ীদের মধ্যে আস্থা সৃষ্টির মাধ্যমে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে।

প্রাথমিকভাবে, ১৯টি সিএলপি ইস্যুকারী সংস্থার মধ্যে এই পর্যায়ে সাতটি সংস্থাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

এনইউ/জই

সর্বশেষ

এই বিভাগের আরও খবর