বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫

নৌপরিবহন শ্রমিকদের কর্মবিরতি

বহির্নোঙরে খালাস বন্ধ, আটকা ১০ লাখ টন পণ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাহাজে সাত খুনের ঘটনায় নৌযান শ্রমিকরা দেশব্যাপী কর্মবিরতি শুরু করেছেন। ফলে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙর থেকে সব ধরনের পণ্য খালাস এবং দেশের অভ্যন্তরীণ নৌরুটে পণ্য পরিবহন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। এতে দেশের ৪৫টি ঘাটে ৭৩৮টি জাহাজে আটকা পড়েছে প্রায় ১০ লাখ টন পণ্য। এর ফলে পণ্য সাপ্লাই চেনে মারাত্মক প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের।

লাইটার জাহাজ নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বাংলাদেশ ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট কো–অর্ডিনেশন সেলের তথ্য অনুযায়ী, নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে সবচেয়ে বেশি জাহাজ আটকা পড়েছে যশোরের নোয়াপাড়া ঘাট, নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর ঘাট, মেঘনা ঘাট ও সিরাজগঞ্জের ঘোড়াশাল ঘাটে। কর্ণফুলী নদী এবং ঘাটেও বিপুল সংখ্যক লাইটারেজ জাহাজ পণ্য নিয়ে অলস ভাসছে। এছাড়া বন্দরের বহির্নোঙরে বড় জাহাজ থেকে ৩৫টি জাহাজে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে নেয়ার জন্য বোঝাই করা হয়েছিল ৫০ হাজার টনের বেশি পণ্য। জাহাজগুলো আটকে আছে। আবার বন্দরের বহির্নোঙরে ২০টি মাদার ভ্যাসেল থেকে পণ্য খালাস বন্ধ হয়ে গেছে। এসব জাহাজে অন্তত ৫ লাখ টন পণ্য খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে। এছাড়া পণ্য খালাস বন্ধ হয়ে পড়ায় জাহাজজট সৃষ্টিসহ আমদানি বাণিজ্যে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে শংকা প্রকাশ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, সাত খুনের ঘটনার পরপরই প্রশাসনের কাছে চার দফা দাবি জানিয়ে তা বাস্তবায়নে ৭২ ঘণ্টা সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল নৌযান ফেডারেশন। এই চার দফা দাবি মেনে না নেয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে বলে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারা জানিয়েছেন। তারা বলেন, নিহত শ্রমিকদের প্রত্যেকের পরিবারের জন্য সরকারিভাবে ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা, সব নৌপথে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ডাকাতি বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হয়নি। যতদিন পর্যন্ত হত্যার বিষয়ে সঠিক বিচার না হবে ততদিন এই কর্মবিরতি চলবে বলেও তারা জানান।

এনইউ/জই

সর্বশেষ

এই বিভাগের আরও খবর