‘প্রতি মাসে আপনার কমলালেবু পরখ করে দেখুন।’ যুবরাজ সিংয়ের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার স্তন ক্যানসার সংক্রান্ত সচেতনতামূলক বিজ্ঞাপনের ভাষা নিয়ে নেট-গ্রহে ঘূর্ণির মুখে প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার। স্তনের বিকল্প ভাষা হিসেবে কমলালেবুকে ব্যবহার করায় নিন্দার ঝড় উঠেছে যুবির বিরুদ্ধে। যুবরাজ সিংয়ের ইউউইক্যান ফাউন্ডেশন (YouWeCan Foundation) সম্প্রতি দিল্লি মেট্রোর কামরায় বেশ কিছু স্তন ক্যানসার সম্পর্কে সচেতনতা পোস্টার দিয়েছে। তাতে ছবিসহ এই স্লোগান নিয়েই মহিলাদের বাউন্সারের মুখে পড়েছেন এককালের অলরাউন্ডার যুবরাজ।
ফাউন্ডেশনের একটি ক্রিয়েটিভ বিজ্ঞাপনে ইংরেজিতে লেখা রয়েছে, চেক ইওর অরেঞ্জেস ওয়ান্স আ মান্থ। যাতে বলতে চাওয়া হয়েছে, স্তন ক্যানসার বিষয়ে নিজেকেই প্রথম সচেতন থাকতে হবে। নিজেই সচেতন থাকলে কোনও মহিলার জীবন বাঁচতে পারে। পোস্টারে দেখা যাচ্ছে, এক তরুণী বাসে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। তাঁর হাতে ধরা রয়েছে দুটি কমলালেবু। বেশ কয়েকজন বৃদ্ধা তাঁর দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। এক বয়স্ক মহিলার হাতে এক ঝুড়ি কমলা ধরা রয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোরাফেরা করা একজন এরকম একটি পোস্ট করেছেন। দিল্লি মেট্রোর কামরায় পোস্টারটি সাঁটা ছিল। যাতে যুবরাজ সিং ছাড়াও দিল্লি মেট্রো কর্তৃপক্ষকেও কুরুচি, নিন্দাজনক কাল্পনিক ছবি ও শব্দচয়নের জন্য কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন তিনি। কনফুসিডিসিয়াস অ্যাকাউন্ট নামের এই নেট নাগরিক বলেছেন, স্তনকে কী বলে ডাকা যায় সেটাই যদি কেউ না জানে তাহলে কী করে একটা দেশ স্তন ক্যানসারের বিষয়ে সচেতন করে তুলবে নাগরিকদের। দেখুন, দিল্লি মেট্রো স্টেশনে কী ধরনের ঘৃণ্য কাজ হয়েছে। পরখ করে দেখুন আপনার কমলালেবুগুলো? কে করেছে এই প্রচার, কারাই বা অনুমোদন দিয়েছে প্রচার করতে? এ রকম পোস্টার জনস্বার্থে প্রচারিত হওয়ার অনুমতি যারা দিয়েছে তারা কী ঠুঁটো, তারাই আমাদের দেশ চালায়, প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
যুবরাজ সিংকে ট্যাগ করে তিনি আরও লিখেছেন, লজ্জাকর এবং অপমানজনক, অবিলম্বে এই পোস্টার তুলে নিন। দিল্লি মেট্রো কর্তৃপক্ষকেও একহাত নিয়ে তিনি দাবি করেছেন যে কামরা থেকে এ ধরনের বিজ্ঞাপন মুছে ফেলতে। তিনি লিখেছেন, আপনাদের পয়সা দিলেই কি যে কোনও বিজ্ঞাপন সাঁটার অনুমতি দেবেন?
এই একই ফাউন্ডেশনের আরেকটি স্তন ক্যানসারের বিজ্ঞাপনে লেখা হয়েছে, আপনি কী করে পরখ করে দেখবেন আপনার কমলালেবুগুলোকে? আপনি কী আপনার কমলালেবু অনেক দেরিতে পরখ করেছেন? ইনস্টাগ্রামে সংস্থার পোস্ট করা এই সচেতনতামূলক বিজ্ঞাপন সম্পর্কে এক কার্ডিওলজিস্ট প্রগতি গুররাম মন্তব্য করেছেন, আমরা যখন সঠিক অসুখের নামই না উচ্চারণ করতে পারি, তাহলে আমরা কী করে সচেতনতা গড়ে তুলব বুঝতে পারছি না। আমরা কী ধরনের বার্তা পৌঁছে দিতে চলেছি? কে এই বিজ্ঞাপনের অনুমোদন দিয়েছেন?
সূত্র: দ্য ওয়াল
এনইউ/জই