পোষ্য কোটা বাতিলসহ ৯ দফা দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। দাবির মধ্যে রয়েছে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি ২০০ টাকা করা, মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি ও পোষ্য কোটাসহ সব ধরনের অযৌক্তিক কোটা বাতিল করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য স্বাস্থ্য বীমা চালু করা, বন্ধ হলগুলোতে শিক্ষার্থীদের আর্থিক অবস্থা, বাড়ির দূরত্ব এবং মেধার ভিত্তিতে আসন বরাদ্দ ও অতিদ্রুত নতুন দুটি হল নির্মাণ করা।
এছাড়া ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল এক্সট্রা কারিকুলার সংগঠনগুলোকে অফিস বরাদ্দ দেয়া, অনতিবিলম্বে টিএসসি নির্মাণ, অতি দ্রুত চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন দেয়া, সব শিক্ষার্থীকে প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল প্রদান ও অনলাইনে রেজাল্ট প্রকাশসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ড অনলাইনভিত্তিক করা এবং সম্প্রতি ঘটে যাওয়া গুপ্ত হামলার সুষ্ঠু বিচার ও ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করারও দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
এদিকে শনিবার (৪ জানুয়ারি) পোষ্য কোটা বাতিল হবে কিনা এ বিষয়ে ৫৫৭ তম সাধারণ সিন্ডিকেট সভায় বসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণকারী পর্ষদের নেতারা। সেখানে পোষ্য কোটা বাতিলে শিক্ষক সমিতি ও কর্মচারী ইউনিয়ন আপত্তি জানিয়েছে বলে খবর বের হয়।
এদিন সকাল ১০টা থেকে ৬টা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের সিনেট কক্ষে অনুষ্ঠিত সাধারণ সিন্ডিকেট সভায় কোটা বাতিলের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তে পৌছাতে পারেনি চবি প্রশাসন। সভা শেষে উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. শামীম উদ্দিন খান বলেন, আমরা শিক্ষক সমিতি কর্মচারী ইউনিয়নের একটা কমিটি গঠন করে দিয়েছি, তারা পোষ্য কোটা বাতিলের বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করেছে। তারা চাচ্ছেন কোটা যেন বাতিল না হোক। তারপরই রোববার ফের আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা।
এনইউ/জই