চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) বর্তমান উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদ ত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষক সমিতি এবার দাবিতে প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করেছে।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) বেলা এগারোটা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষক সমিতির নেতৃত্বে অর্ধ শতাধিক শিক্ষক এই কর্মসূচি পালন করে।
চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী বলেন, আমরা আইন ও বাংলা বিভাগের নিয়োগ বন্ধ করার কথা বলেছিলাম। এটা শুধু একটা বিষয় নয়। টিপ অব দা আইচ বার্গ। এই যে বিশাল দুর্নীতি, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনকে লঙ্ঘন করার যে ফিরিস্তি তার সামান্যতম হচ্ছে আইন বিভাগের নিয়োগ। রাতের আঁধারে নিশাচর প্রাণীর মতো পালিয়ে গিয়ে আপনি আইন বিভাগের নিয়োগ বোর্ড করেছেন। এটা লজ্জাজনক, এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ন্যাক্কারজনক একটা ঘটনা। আপনার নৈতিক সাহস নেই। আপনি নৈতিকতা হারিয়েছেন। উপ-উপাচার্যও একই রকম প্রক্রিয়ার অংশ। যতক্ষণ উপাচার্য ও উপ উপাচার্যের বিদায় না হচ্ছে আমরা কর্মসূচি চালিয়ে যাব।
জীববিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, ১৯৯৪ সালের সিন্ডিকেট প্রদত্ত ক্ষমতায় যদি উপাচার্য যদি শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে দেন তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিবদ্ধ পর্ষদগুলোর থাকার কোনো প্রয়োজন নেই। আমার মনে এটা সামরিক ফরমানের চাইতেও কম নয়। এটা বিশেষ পরিস্থিতির ক্ষেত্রে বলা হয়েছে। সেক্ষেত্রেও সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত আছে।
এদিন বিকাল তিনটায় সাংবাদিকদের সামনে উপাচার্য কার্যালয়ে চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার সার্বিক বিষয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যতদিন অবধি আমার উপর আস্থা রাখবেন ততদিন অবধি কোন অন্যায় এবং অযৌক্তিক দাবির কাছে কোনদিনই মাথা নত করবো না। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার কন্যা এবং একজন মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী। আমাদের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে একজন মুক্তিযোদ্ধা। সুতরাং কোন অন্যায় ও অন্যায্য দাবির কাছে আমরা হার মানবো না।