বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

মধ্য এশিয়ার অন্যতম আকর্ষণ – ‘শাহী জিন্দা কমপ্লেক্স’ পরিদর্শন

২৫ শে অক্টোবর (মঙ্গলবার) সামারকান্দে হয়রত দানিয়েল (আঃ) এর মাজার পরিদর্শন ও জিয়ারত শেষে আমরা ছুটে চললাম মধ্য এশিয়ার অন্যতম আকর্ষণ সামারকান্দের বিশেষ আকর্ষণ শাহী জিন্দা কমপ্লেক্স পরিদর্শনে ।

গন্তব্যে পৌছার আগেই দক্ষ বিচক্ষণ গাইড পথিমধ্যেই বাস চলাকালে শাহী জিন্দা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ধারণা দেয়া শুরু করেন । তিনি বলেন, শাহ-ই- জিন্দা নামের অর্থ হলো “The living king”. আর এ নাম অন্যতম কিংবদন্তি সাহাবী কাসেম ইবনে আব্বাস (রা:) এর সাথে জড়িত। তিনি রাসূল মোহাম্মদ (সা:) এর চাচাতো ভাই ছিলেন। কমপ্লেক্সটি জগৎ বিখ্যাত ঐতিহাসিক নিদর্শন যা পুন: সংযোজন ও নির্মাণ করে আজকের রুপ লাভ করে । এখানে হজরত কাসেম ইবনে আব্বাস (রা:) সমাহিত আছেন। এছাড়াও রাজ পরিবারের সদস্যরাও এখানে সমাহিত।

গাইড আকু আমাদেরকে হজরত কাসেম বিন আব্বাস (রা:) এর এদেশে আগমন এর কাহিনী বলতে থাকেন । তিনি বলেন, কাশেম বিন আব্বাস(রা:) ৬২৪ সালে মদিনায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রাসূল মুহাম্মদ (সা:) এর চাচা হযরত আব্বাস(রা:) এর পুত্র ছিলেন । খলিফা হযরত আলী ইবনে আবু তালিব(রা:) এর শাসনামলে তিনি মক্কার শাসকের দায়িত্ব পান। পরবর্তীতে হযরত মোয়াবিয়া (রা:) এর শাসনামলে তিনি খোরাসানের গভর্নর সাঈদ ইবনে উসমানের (রা:) নেতৃত্বে মধ্য এশিয়া জয় লাভে অংশগ্রহণ করেন। এরপর সাঈদ ইবনে আব্বাস(রা:) মধ্য এশিয়ায় ইসলাম ধর্মের প্রচার ও প্রসারের জন্য হযরত কাসেম ইবনে আব্বাস(রা:) কে এখানে থেকে যেতে বলেন। অতঃপর তিনি সেখানে অবস্থান করে ইসলাম ধর্মের প্রচার ও প্রসার করেন এবং বিভিন্ন যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে শারীয়াহ ভিত্তিক আইন প্রবর্তন করেন।

৬৭৭ সালে সামারকান্দ সোগিয়ানদের দ্বারা আক্রান্ত হয় এবং সামারকান্দ শহরকে রক্ষা করতে গিয়ে তিনি শাহাদাৎ বরণ করেন। সেখানে বনু নসহিয়া কবরস্থানে তাকে সমাধিস্থ করা হয় । সমরখন্দের “শাহী জিন্দা” মহানবী হজরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চাচাতো ভাই হযরত কুসাম বিন আব্বাস (রা) এর মকবরা শরীফ জিয়ারতের সৌভাগ্য অর্জন করলাম । তিনিই প্রথম উজবেকিস্তানে ইসলামের দাওয়াত নিয়ে যান। এখানেই তিনি অগ্নি উপাসকদের হাতে শাহাদাৎ বরণ করেন।

বর্তমানে উজবেকিস্থানে ৮৮% মানুষ মুসলমান। তিনি মহানবী হজরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অত্যন্ত প্রিয় ও স্নেহধন্যদের অন্যতম। তাঁর সাথে মহানবী (স.) এর চেহারা ও চরিত্রে অন্যদের তুলনায় বেশি মিল ছিলো। মহানবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দাফন কাফন এমনকি গোসল তিনি নিজ হাতে সম্পন্ন করেন এবং তাঁকে রওজায় রাখার পর তিনিই সবশেষে রওজা মোবারক থেকে বের হন। প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর চাচাতো ভাই হজরত কুসাম বিন আব্বাস (রা) এর মাজার শরীফকে কেন্দ্র করে সেখানে গড়ে উঠেছে বহু দৃষ্টি নন্দন স্থাপনা ।

স্থানীয়দের মতে এলাকাটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ ও বরকতময়।আরো উল্লেখযোগ্য যে,হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা:) আখেরি নবী হযরত মোহাম্মদ মোস্তফা (সঃ) এর সর্বকনিষ্ঠ চাচা।হজরত কুসাম ( রা:) আব্বাস (রা:)জ্যেষ্ঠ ছেলে এবং তিনি একজন বিশিষ্ট সাহাবী। তিনি কুরাইশ বংশের হাশেমি শাখার সন্তান। তাঁর মাতার নাম লুবাবাহ বিনতে হারেস। উম্মুল মুমিনীন হযরত মায়মুনা (রা) তাঁর আপন খালা। এ হিসেবে রাসূল (স) তাঁর খালু। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস ছিলেন একজন বিশিষ্ট সুবিজ্ঞ ফকিহ ও আল-কুরআনের তাফসীরের ক্ষেত্রে শীর্ষস্থানীয় মুফাস্সির। মুসলিম বিশ্বে তাকে রইসুল মুফাস্সিরিন বা সাইয়্যিদুল মুফাস্সিরিন (প্রধান) বলা হয় । তিনি সর্বাধিক হাদিস বর্ণনাকারী সাহাবীদের অন্যতম । আল্লামা আইনির মতে, হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা:)এর বর্ণিত হাদিসের সংখ্যা ১৬৬০ টি । কারো মতে ২৬৬০ টি । বুখারী শরিফে ও মুসলিম শরিফে যৌথভাবে ৯৫ টি, এককভাবে বুখারীতে ১২০ টি এবং মুসলিমে ৪৯ টি হাদিস উল্লেখ রয়েছে। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) এর তাফসিরের নাম “তানওয়ীর আলমিকবাস মিন তাফসীর ইবন আব্বাস”।

আমরা মহান এ সাহাবীর মকবরা শরীফ জেয়ারতের সুযোগ লাভ করায় আল্লাহর দরবারে অশেষ শুকরিয়া আদায় করলাম । সমরখন্দ এর শাহী জিন্দা এলাকায় আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তির সমাধি রয়েছে। সেলজুক সাম্রাজ্যের শেষ সম্রাট সুলতান আহমদ সানাজার এর আমলে (১১১৮ – ১১৫৭) ঐ সমাধির উপর একটি মাদ্রাসা নির্মাণ করা হয় যার নাম ছিল ‘ কাসেমিয়া’ (বর্তমানে এর অস্তিত্ব নাই) । পরবর্তীতে আমুর তৈমুরের শাসন আমলে একটি মাজার তাঁর সমাধিতে নির্মিত হয়। মাজারটি সে সময়ের অসাধারণ আর্কিটেকচার ডিজাইনে আরবী শিলালিপি দিয়ে মধ্য এশীয় ডিজাইনে নির্মিত হয়। এটি তাঁরপর থেকে ‘শাহী জিন্দা’ কমপ্লেক্সের অন্তর্গত হয়। একে মধ্যযুগে মধ্যএশিয়ার আর্কিটেকচার এর অনন্য স্মৃতিস্তম্ভ হিসেবে মনে করা হয় ।

আমরা কমপ্লেক্সে পৌঁছে যাই। বিল্ডিং গুলো নীল ফিরোজা টাইলসের যথাযথ তৈমুরীয় আর্কিটেকচার ডিজাইনের তৈরী । শাহী-ই-জিন্দা কমপ্লেক্সটি পরিপূর্ণতা লাভ হতে আট শতাব্দী লাগে (১১ শতক থেকে উনিশ শতক) এবং বর্তমানে এই কমপ্লেক্সের ভিতর ২০টিরও বেশি বিল্ডিং বা ভবন রয়েছে। পাহাড়ের উপর সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে যাওয়া এই কমপ্লেক্সকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়। নিচের অংশ, মধ্য অংশ ও উপরের অংশ। উক্ত তিন অংশের পথকে সংযুক্ত করা হয়েছে চারটি গম্বুজ দিয়ে যাদেরকে বলা হয় চারতাক । সর্বপ্রথম বিল্ডিংটি ১১ থেকে ১২ শতকে নির্মিত হয়।

কমপ্লেক্সের অধিকাংশ ভবন গুলো ১৪ থেকে ১৫ শতকে নির্মিত হয়। ১৬ থেকে ১৯ শতকে পুনঃনির্মাণ কাজ কমপ্লেক্সটির মূল কাঠামোতে কোন পরিবর্তন না করে করা হয়। কমপ্লেক্সের প্রথম এবং প্রধান ভবন যেখানে হযরত কাসেম ইবনে আব্বাস(রা:) এর মাজার ও স্থাপত্যের সমাহার তা’ উত্তর পূর্ব পাশে অবস্থিত । এটি সেখানকার সবচেয়ে পুরাতন ভবন । ১৬ শতকে নির্মিত একটি মসজিদও সেখানে রয়েছে। আমরা রাস্তার ফুটপাত ঘেষে দাঁড়িয়ে থাকা কমপ্লেক্সটির প্রথম ও মধ্যভাগ সিঁড়ি বেয়ে অতিক্রম করে উপরে উঠতে থাকি যেখানে কাশেম বিন আব্বাস (রা:) এর মাজার অবস্থিত। সেখানে তাঁর কবর জিয়ারত করি। আর ভাবতে থাকি ইসলাম ধর্মের প্রচার ও প্রসারের জন্য কত হাজার হাজার সাহাবী, সুফি, সাধকদেরকে কতইনা কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে। নিজভূমি পরিত্যাগ করে তাঁরা পরবাসী হয়েছেন। আল্লাহর দ্বীন কায়েমের জন্য তাদের আত্মত্যাগের কাহিনী ও অবদান সত্যি অনস্বীকার্য। আল্লাহ সুবহানাহুওয়াতায়ালা নিশ্চয়ই তাদেরকে এর সর্বোত্তম বিনিময় দান করবেন।

কমপ্লেক্স এর মধ্যভাগে অবস্থিত মাজার গুলো ১৪ ও ১৫ শতকের প্রথম দিকে নির্মিত হয় । এতে আমুর তৈমুরের আত্মীয়-স্বজন, সিনেটর ও অভিজাত যাজকরা সমাহিত রয়েছেন। পশ্চিমে তুরকান আগো মাজার যেখানে আমুর তৈমুরের বাবার দিকের আত্মীয়স্বজনদের সমাহিত করা হয়। এর বিপরীতে শিরিন বিকা আগার মাজার অবস্থিত । উনি আমুর তৈমুরের বোন ছিলেন । নীচের অংশে কাজী জাদে রুমীর মাজার অবস্থিত । তিনি একজন নামকরা বিজ্ঞানী ও জ্যোতিবিদ ছিলেন। কমপ্লেক্সের এই অংশটি উলুগ বেগের সময়কালে ১৪৩৪ – ১৪৩৫ সালে নির্মিত হয়। কমপ্লেক্সের মধ্যভাগ ও উপর থেকে সমরকান্দের মনোরম দৃশ্য অবলোকন করা যায় । আমরা ভবন গুলোর চারিদিকে ঘুরে দেখি । সফরসঙ্গীরা চমৎকার ঐতিহাসিক স্থানটির ছবি ধারণ করতে থাকেন । সেখানে পথের মধ্যে দোকানীরা তাদের ঐতিহ্যবাহী জিনিসের পসরা সাজিয়ে বসে আছে। যেহেতু আজকে আমাদেরকে সামারকান্দের বিখ্যাত ঐতিহ্যবাহী শিহাব বাজারে নিয়ে যাবে তাই আমরা সেখান থেকে সামান্য কেনাকাটা করে গাড়িতে উঠে পড়ি।

এ প্রাচীন বাজারটি ১৪ শতকে তৈমুরীয় শাসনামলে গুরুত্বপূর্ণ বাজারে পরিণত হয় । কিন্তু সোভিয়েত শাসন আমলে অর্থনীতিকে আধুনিকায়ন করার ফলে শিয়াব বাজার এর গুরুত্ব হারায় । এটি সমরকান্দের সবচেয়ে বড় বাজার । এখানে তাদের প্রাত্যহিক জীবনের সকল প্রকার সামগ্রী পাওয়া যায় । স্বাধীনতাঁর পর বাজারটিকে আবার পুনঃনির্মাণ করা হয় এবং স্থানীয় ও পর্যটকদের জন্য প্রধান আকর্ষণীয় কেন্দ্রে পরিণত করা হয়। ৭ হেক্টর জায়গার উপর মার্কেটটি অবস্থিত। এর নিকটে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বিবি খানম মসজিদ, শাহ-ই- জিন্দা, রেগিস্তান স্কয়ার অবস্থিত । উজবেকিস্তানের সংস্কৃতিকে অর্থাৎ তাদের খাওয়া, পোশাক, দৈনন্দিন চলাফেরার সামগ্রী সম্পর্কে জানতে হলে শিয়াব বাজারে চলে আসলেই জানা যাবে। তাদের ঐতিহ্যবাহী সামগ্রী, পোশাক, স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত সামগ্রী, ডেইরি সামগ্রী, তামা সামগ্রী, তাজা ফল, শুকনা বাদাম ও ফলের জন্য শিয়ার বাজার প্রসিদ্ধ । এটি UNESCO WORLD heritage site হিসেবেও অন্তর্ভুক্ত হয় ।

বাজার থেকে দূরে গাড়ি রাখবার স্থান । সেখানে গাড়ি রেখে আমরা একটি পথ পারাপারের ব্রিজ অতিক্রম করে বাজারে যাই । সবাই যে যার মত বাজার করতে থাকি । আমাদেরকে দুই ঘণ্টা সময় বেঁধে দেয়া হয় এবং অতঃপর সবাই কোথায় মিলিত হবো দেখিয়ে দেয়া হয়। আমরা বাজার শেষে যথাসময়ে নির্ধারিত স্থানে অপেক্ষা করতে থাকি । চারিদিকে অন্ধকার নেমে এসেছে। আগামীকাল সকালে আরেক প্রসিদ্ধ নগরী বুখারার উদ্দেশ্যে ট্রেন যোগে আমরা যাব । তাই রুমে দ্রুত ফিরে ব্যাগ গোছাতে হবে। রাতের ডিনারের জন্য শিয়াব বাজারের কাছে গাড়ি রাখার স্থানে একটি ভালো মানের রেস্টুরেন্টে আছে। আমরা সেখানে ঢুকে পড়ি ।

আমাদের কাফেলার চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. গিয়াস উদ্দিন তালুকদার ভাই উনার কন্যা স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ থেকে এ বছর ডাক্তারিতে ভালো রেজাল্ট করায় সেজন্যে তিনি আমাদের পুরো টিমকে রাতের ডিনার খাওয়াবার ঘোষণা দেন। আমরা সবাই তাঁর কন্যা ডাঃ মারজানের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য দোয়া করি । যথারীতি সালাদ, স্যুপ আর শিষ কাবাব ও তাদের ঐতিহ্যমণ্ডিত বন দিয়ে আমরা ডিনার সারি। অপূর্ব স্থাপত্য শৈলীর, গুণী, আধ্যাত্মিক মনীষী সাধক ও ইসলাম ধর্ম প্রচারকদের এই শহর সামরকান্দ। তাই বর্তমান বিশ্বের অন্যতম পর্যটন নগরীতে এটি পরিণত হয়েছে।

সামরখন্দের গায়ে চেঙ্গিস খানের আক্রমণের যতনা ক্ষত আছে তাঁর চেয়েও বেশি উজ্জ্বল হয়ে আছে তাদের জাতীয় বীর যোদ্ধা তৈমুর লং ও তাঁর বংশধরদের কীর্তি । যার স্বাক্ষর বিভিন্ন স্থাপনাগুলো। মাজার গুলো এর গুণী মানুষদের কবরের সাক্ষ্য বহন করে । বর্তমান সরকার এগুলোকে খুব ভালোভাবেই পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ করছে। কোথাও কোন মাজারে ফকিরদের আখড়া, তাবিজ কবজ বা লাল দড়ি ঝুলিয়ে রাখা,নেশা করা,সেজদা দেয়া প্রভৃতি শির্ক ও বিদাত সংস্কৃতি পরিলক্ষিত হয়নি বরং পর্যটকদের জন্য এগুলোকে যথাযথ সংরক্ষণ করে অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র পরিণত করা হয়েছে এবং বেড়ানোর জন্য উন্নত পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে।

শহরের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা আমাদেরকে মুগ্ধ করে। বিভিন্ন গাছ, ফুলের বাগান, ফলের বাগান প্রকৃতির নির্মল পরিবেশ সর্বত্র বিরাজমান । পরিচ্ছন্ন বিশুদ্ধ বাতাসে নিঃশ্বাস নিয়ে মনে পড়ছিল আমার সেই শৈশবের সবুজ পাহাড়ে ঘেরা চট্টগ্রামের কথা । কোথাও কোন ট্রাফিক জ্যাম দেখিনি । বিশাল বিশাল রাস্তা কিন্তু সবাই ট্রাফিক সিগন্যাল মেনে চলছে। আলো জ্বললেই তবে জেব্রা ক্রসিং দিয়ে রাস্তা পারাপার হচ্ছেন পথচারীরা । নীল, ফিরোজার অসাধারণ পেইন্টিংস এর সর্বত্র প্রায় একই ধরনের আর্কিটেকচার ডিজাইনের ঐতিহ্যবাহী নিদর্শন সম্বলিত গোটা সামারখান্দ যেন একটি মিউজিয়াম ।
( চলবে)

লেখক – পর্যটক, কলামিস্ট, নারী উন্নয়ন কর্মী ও শিক্ষাবিদ, প্রিন্সিপ্যাল, চিটাগং ভিক্টোরী ন্যাশনাল স্কুল- সিভিএনএস

সর্বশেষ

এই বিভাগের আরও খবর