২৪ অক্টোবর ‘২৩ সোমবার,আজ সামারখান্দ সফর শেষ করে রওনা হবো ঈমাম বুখারীর (র:) ও তরিকতের ঈমাম বাহাউদ্দীন নকশবন্দী ( র:) এর জন্মস্থানে। আমরা ট্রেনে করে ঐতিহ্যবাহী প্রাচীনতম শহর বুখারায় যাব! যথারীতি নাস্তা সেরে আমরা ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতে থাকি । এখানে ট্রেনে চড়া ও নামার কাজটি যেন একটি যুদ্ধ। কারণ দ্রুত গতিতে উঠতে ও নামতে হয় নচেৎ ট্রেন মিস হয়ে যাবে অথবা ট্রেনে চড়ে অন্য গন্তব্যে পৌঁছে যাবেন। বুখারা পশ্চিম উজবেকিস্তানের বোখারা প্রদেশের রাজধানী শহর। এটি জেরযাশন নদীর তীরে এক মরুদ্যানে, তুর্কমিস্তান সীমান্ত থেকে প্রায় ৮৫ কিলোমিটার উত্তর পূর্বে অবস্থিত । বোখারার আশেপাশের অঞ্চলে প্রাকৃতিক গ্যাস, তুলা এবং রেশম উৎপাদিত হয়। এখানে বস্ত্র, কার্পেট ও পশমের কারখানা আছে। এখানে প্রচুর স্থাপত্য নিদর্শনও রয়েছে। এদের মধ্যে অনেকগুলো মসজিদ, আর্ক নামের একটি দুর্গ, প্রসিদ্ধ আধ্যাত্মিক সাধকদের মাজার রয়েছে। বুখারার ঐতিহাসিক কেন্দ্র স্থলটিকে ১৯৯৩ সালের ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের মর্যাদা দেয় ।
খ্রিস্টীয় প্রথম শতকে বোখারা প্রতিষ্ঠা করা হয়। অষ্টম শতকে আরবরা জয় করার পূর্বে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য ও সংস্কৃতি কেন্দ্র ছিল। পরবর্তীতে কারাখানীয় ও তাতারেরা শহরটি দখল করে। ১২১৯ সালে চেঙ্গিস খান এসে শহরটি ধুলোয় মিশিয়ে দেন। ১৫৫৫ সালে এটি একটি উজবেক আমিরাতের রাজধানীতে পরিণত হয়। এরপর এ- আমিরাত্তটি বিভিন্ন সময় মঙ্গল, তুর্কি ও উজবেকরা শাসন করে । ১৮৬৬সালে রাশিয়া আমিরাত বিজয় করে একে সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের অংশ করে নেয়া হয়। ১৯৯১ সালে স্বাধীন উজবেকিস্তানে পরিণত হয়। এখানে আলী আকবর দেহ খোদা বুখারা নামটি নিজেই ‘জ্ঞানে পরিপূর্ণ ‘হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেছেন এ সত্যটি উল্লেখ করে যে প্রাচীনকালে বুখারা একটি বৈজ্ঞানিক এবং পাণ্ডিত্যের পাওয়ার হাউস ছিল। এটি দীর্ঘদিন ধরে মধ্য এশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ছিল। প্রাচীন পারস্য শহরটি বহু শতাব্দী ধরে ইসলামী সংস্কৃতির একটি প্রধান কেন্দ্র হিসেবে কাজ করছিল। ট্রেন ছুটে চলছে৷ সামারকান্দকে বিদায় জানিয়ে ট্রেন ছুটে চলছে বুখারার পানে৷ তাসখন্দ শহর থেকে তুলনামূলকভাবে সামারখান্দ অনেক নিরিবিলি মনে হয়েছিলো৷ আর বুখারা শহরকে এর চেয়েও আরো নিরিবিলি মনে হয়৷ দুপাশের দৃশ্য দেখে মনে হয় সেখানে গ্রামের পরিবেশ বিরাজ করছে৷ আসলে এ- দেশের আয়তনের তুলনায় জনসংখ্যা কম বিধায় জনবহুল বাংলাদেশ থেকে গিয়ে আমাদের মনে হচ্ছিল পুরো দেশটা কেমন যেন জনশূন্য৷ আমরা প্রায় দু থেকে তিন ঘণ্টার মধ্যে বুখারা ট্রেন স্টেশনে পৌঁছে যাই৷ ট্রেনে আমাদের মুখোমুখি দুইটি সিটে বসা দুই তরুণ ট্রাভেল ব্লগারের পারস্পারিক গল্প শুনতে শুনতে আমরা বুখারাই পৌঁছে যাই! তারা একজন আরেকজনের সাথে পরিচিত হওয়ার সময় জানতে পারলাম একজন ভারতীয় আরেকজন ক্যালিফোর্নিয়া থেকে এসেছে৷ এখানকার সিল্ক রোড এবং তাদের অভিজ্ঞতার গল্প করছিল৷ ক্যালিফোর্নিয়ার ব্লগার পরবর্তীতে সে বাংলাদেশ যাবে জানায় এবং ঢাকার বিরিয়ানি খুবই সুস্বাদু ও তা সে খাবে জানায়৷ তখন ভারতীয় তরুণটি ঢাকা ভ্রমণের কথা জানায় এবং কোথায় সেরা বিরিয়ানি পাওয়া যাবে তাকে জানায়৷ আমরা তাদের কথোপকথন বেশ মজা করে শুনছিলাম৷ ট্রেন স্টেশনে পৌঁছার সময় হলে নামবার প্রস্তুতির সময় আমাদের সঙ্গী জানায় আমরা বাংলাদেশী এবং সে ঢাকায় অবশ্যই ফখরুদ্দিন ও সুলতান ডাইনের সেরা বিরিয়ানি চেখে দেখে ও স্বাদ নেয়৷ স্টেশনে আমাদের বুখারা শহরের গাইড নিলুফার ও ট্যুর ম্যানেজার আব্দুর রহমান অপেক্ষা করছিলেন৷
ইমামুত ত্বরিকত হজরত খাজা সৈয়দ বাহাউদ্দীন নকশবন্দী বুখারী (রাহ.)’ (১৩১৮-১৩৮৯) এর মাজার শরীফ বুখারা উজবেকিস্তান,তিনি একজন বিশ্ব বিখ্যাত ইসলামি সুফি ব্যক্তিত্ব, লেখক ও অতীন্দ্রবাদী। তিনি নকশবন্দি তরিকার প্রতিষ্ঠাতা, যা ইসলামি বিশ্বের অন্যতম সর্ববৃহৎ তরিকার একটি। বাহাউদ্দিন বুখারার (বর্তমানে উজবেকিস্তান) সন্নিকটে কাসরে হিন্দুভান (পরবর্তীতে কাসরে আরেফান নামকরণ করা হয়) নামক স্থানে ১৩১৭ সালের মার্চে (মহররম ৭১৭ হিজরী) জন্মগ্রহণ করেন।অল্প বয়স থেকেই তিনি আধ্যাত্মিক ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন। ইউসুফ হামাদানির পঞ্চম বংশধর বাবা সাম্মাসি একবার কাসরে আরেফান গ্রাম অতিক্রম করে বলেছিলেন, “আমি একজন আধ্যাত্মিক জ্ঞানীর ঘ্রাণ অনুভব করছি যিনি এখানে জন্মগ্রহণ করবেন এবং যার নামে এই পুরো তরিকাটি পরিচিত হবে।”
শৈশব থেকেই বাহাউদ্দিন অসংখ্য সুফি সাধকদের সাহচর্যে ও সংশ্রবে ছিলেন। অল্প বয়সেই তিনি বাবা মোহাম্মদ সাম্মাসির নিকট বায়াত গ্রহণ করেন এবং তিনিই ছিলেন তার আধ্যাত্মিক জীবনের প্রথম দীক্ষাগুরু। তবে বাবা মোহাম্মদের প্রধান খলিফা (আধ্যাত্মিক প্রতিনিধি) আমির কুলালের সাথে বাহউদ্দিনের সম্পর্ক তার আধ্যাত্মিক জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। মূলত তার থেকেই বাহাউদ্দিন আধ্যাত্মিক শিক্ষা গ্রহণ করেন।
বাহাউদ্দিন ১৩৮৯ সালের ২ মার্চ (৩ রবিউল আউয়াল ৭৯১ হিজরি) ৭৩ বছর বয়সে কাসরে আরেফানে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এবং সেখানেই তাকে সমাহিত করা হয়। ১৫৪৪ সালে খান আবদুল আজিজ তার কবরের উপরে একটি সমাধি এবং আশেপাশের ইমারত নির্মাণ করেছিলেন। বুখারা থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে একটি মেমোরিয়াল কমপ্লেক্স রয়েছে যা বর্তমানে এটি একটি তীর্থযাত্রার স্থানে পরিণত হয়েছে।দেশি-বিদেশি, মুসলিম অমুসলিম অগণিত পর্যটকদের আনাগোনায় স্থানটি মুখরিত হয়ে উঠেছে।
অনতিদূরেই মহীয়সী নারী হজরতের আম্মাজান হজরত আরিফা ( রহ) এর মাজারও জিয়ারত করলেন আমাদের সফর সংগীরা। আর আমাদের গাইড নিলুফার এ-র চমৎকার বর্ণনা তন্ময় হয়ে শুনছিলাম।)
আমরা দ্রুত নেমে বাসে উঠে পড়ি৷ নীলুফার অত্যন্ত সুন্দরী, স্মার্ট মধ্যবয়সী একজন ট্যুর গাইড৷ তিনি নিজের পরিচয় দেন এবং বুখারা সফরের সঙ্গী হিসেবে তিনি আমাদের সাথে থাকবে জানান৷ আজ প্রথমেই আমাদেরকে নিয়ে যাওয়া হবে বিশিষ্ট সুফি ব্যক্তিত্ব, লেখক ও অতীন্দ্র কাজী সৈয়দ বাহাউদ্দিন নকশাবন্দি(রহ:) বুখারীর মাজারে৷ নীলুফার সংক্ষেপে বুখারা শহরের ইতিহাস তুলে ধরে এ-মহান সাধকের সম্পর্কে বলতে থাকেন৷ বাহাউদ্দিন(রহ:) বুখারার সন্নিকটে কাসরে হিন্দুভান (যা পরে কাসরে আরাফান নামকরণ হয়)। নামক স্থানে ১৩১৭ সালের মার্চে (মহররম ৭১৭ হিজরী) জন্মগ্রহণ করেন৷ অল্প বয়স থেকে তিনি আধ্যাত্মিক ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন৷ ইউসুফ হামদানির পঞ্চম বংশধর বাবা সাম্মাসি একবার কাসরে আরেফান গ্রাম অতিক্রম করে বলেছিলেন “আমি একজন আধ্যাত্মিক জ্ঞানীর ঘ্রাণ অনুভব করছি যিনি এখানে জন্মগ্রহণ করবেন এবং যার নামে এই পুরো তরিকাটি পরিচিত হবে৷ ” শৈশবে উনি বাবার সাথে সেখানকার ঐতিহ্যবাহী পোশাক “কিমখা সেলাইয়ের কাজে সহযোগিতা করতেন৷ তার জন্মের ৩ দিন পর তার দাদা তাকে হযরত মুহাম্মদ বাবা আস সামাসির(রহ:) কাছে নিয়ে আসলে তিনি ঘোষণা করেন যে তিনি ঐ শিশু যার সুঘ্রাণের কথা তিনি বলেছিলেন৷ সে মানবজাতির জন্য পথপ্রদর্শক হবে৷ যে ঐশী জ্ঞান আল্লাহ তাকে দিবেন তা তিনি মধ্য এশিয়ার ঘরে ঘরে পৌঁছে দিবেন৷ আল্লাহর নাম তার হৃদয়ে ‘নকশ’ হয়ে থাকবে৷ হযরত মুহাম্মদ বাবা সামাসির প্রধান আধ্যাত্মিক প্রতিনিধি আমির কুলালের(রহ:) সাথে বাহাউদ্দিন(রহ:) এর সম্পর্ক তার আধ্যাত্মিক জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল৷ মূলত তার থেকে বাহাউদ্দিন(রহ:) আধ্যাত্মিকতার শিক্ষা গ্রহণ করেন৷ তার আধ্যাত্মিক সিলসিলার গুরুদের ক্রমটির ১৬ জনের ক্রমানুসারে পিছনের দিকে অগ্রসর হলে হযরত মুহাম্মদ (সা:) এর সিলসিলায় গিয়ে শেষ হয়৷ তিনি জিকির সংক্রান্ত তার আটজন গুরুদের থেকে কিছুটা স্বতন্ত্র তিনটি নীতি যুক্ত করেন৷ তিনি নীরব জিকিরের প্রবর্তক ছিলেন৷ নকশাবন্দীর(রহ:) তরিকায় নিরবে জিকির করার তিনটি মূলনীতি রয়েছে৷ (১) উকুফে জানিয়ানি( সময়ের ব্যাপারে সতর্ক) (২) উকুফে ক্বালাবি (হৃদয়ের গভীরতা) (৩) উকুফ আদালি (সংখ্যার ব্যপারে সতর্ক)। তিনি বলেন জিকির দু- ভাবে করা যায়৷ (১) শব্দ করে (২) নীরবে৷ কিন্তু আমি নীরবে করা জিকির পছন্দ করি৷ কারণ এটি শব্দ করা জিকির থেকে শক্তিশালী৷ সম্মিলিত জিকিরের ক্ষেত্রে তিনি বলেন যিনি সবচেয়ে পরিপক্ক তিনি জিকিরের অনুমতি দিবেন যেন তা সবাইকে প্রভাবিত করে যেমনি “একজন দক্ষ তীরন্দাজের তীর ছোঁড়া একজন সাধারণ তীরন্দাজের তীর ছোঁড়া থেকে ভালো হয়”। তাই বলে তিনি এই শব্দ করে জিকির করাকে কখনো সমালোচনা করেননি৷ শুধু নীরব জিকির করাকে পছন্দ করেছেন৷ তিনি সাত মাস মাওলানা আরিফ আদদীন কারবানীর(রহ:) থেকে নীরব জিকিরের দীক্ষা নেন৷ পরবর্তীতে দরবেশ হযরত খলিল আতা(রহ:) কে স্বপ্নদ্রষ্ট হয়ে মিলিত হন এবং ৬ বছর তার সাথে কাটান৷ হযরত বাহাউদ্দিন(রহ:) বলেন, ” তিনি আমাকে অসহায় ও দুর্বলকে সাহায্য করতে, ভাঙা হৃদয়কে অনুপ্রাণিত করতে নির্দেশ দেন৷ তিনি আমাকে বিনয়ী, মানবিক ও সহনশীল হবার আদেশ দেন৷ আমি বহুদিন তার নির্দেশে এ- অবস্থায় দিন অতিবাহিত করি৷ এরপর তিনি আমাকে পশুদের যত্ন নেবার নির্দেশ দেন৷ আমি তাদের অসুস্থতা আরোগ্যে যত্ন নিই, ক্ষত পরিষ্কার করে দেয়া এবং তাদেরকে তাদের সংস্থান খুঁজে পেতে সাহায্য করি৷ আমি ততদিন ….. নিজেকে এইভাবে রাখি যতদিন আমি সেই অবস্থায় না পৌঁছি যে রাস্তায় একটি পশু দেখলে তাকে যাবার জন্য পথ করে দিতাম৷ “এই মহান সাধক ১৩৮৯ সালের ২ মার্চে ( তিন রবিউল আউয়াল ৭৯১ হিজরী) ৭৩ বছর বয়সে কাসরে আরেফানে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন৷ মৃত্যুকালে তিনি নিজেকে গৃহবন্দী করেন৷ তার অগণিত শিষ্যরা তাকে দেখতে আসেন এবং তার শেষ উপদেশ নিয়ে যান৷ তার মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্তে তিনি সুরা ইয়াসিন পাঠ করতে বলেন এবং কালেমা পাঠ করে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন৷ তারই অনুরোধে তাকে তার নিজের বাগানে সমাহিত করা হয়। ১৫৪৪ সালে খান আব্দুল আজিজ তার কবরের উপরে একটি সমাধি এবং এর আশেপাশে ইমারত নির্মাণ করেছিলেন৷ বুখারা থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে এটি অবস্থিত৷ এখানে একটি মেমোরিয়াল কমপ্লেক্স রয়েছে এবং বর্তমানে এটি একটি তীর্থযাত্রার স্থানে পরিণত হয়েছে৷ আমাদের গাইড জানায় সেখানকার অধিবাসীদের বিশ্বাস এখানে একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব পায়ে হেঁটে আসলে হজ্ব করার নেকি লাভ করা যায়৷ বহু শতাব্দী ধরে এটি উন্নয়ন করা হয়৷ সোভিয়েত শাসন আমলে সেখানে যাওয়া নিষিদ্ধ ছিল৷ দু-হাজার সালে ক্যালিওগ্রাফার হাবীদুল্লাহ সলিহ সুরা আর রাদ এর ২৮ তম আয়াত শিলালিপিবদ্ধ করে এর ‘ববি ইসলম’ বা প্রবেশ গেইটের দেয়ালে লাগান৷ এই কমপ্লেক্সের সবচেয়ে বড় ঘরটি হচ্ছে খানাকাহা যেখানে সুফীরা থাকতেন৷ এটি ১৫৪৪ ও ১৫৪৫ সালে নির্মিত হয়৷ সেখানে বিভিন্ন কবিতার বেদনাতুর লিপি অর্ন্তলিখিত আছে৷ এতে একটি সুফি মিউজিয়াম ও বিজ্ঞান কেন্দ্রও কমপ্লেক্সের ভিতরে রয়েছে৷ আমরা এই সুফি সাধকের কবর জিয়ারত করি এবং সেখানের মসজিদে আমাদের অনেকেই আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানিয়ে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করি৷ আমরা কমপ্লেক্সটি ঘুরে ঘুরে দেখি৷ কমপ্লেক্স থেকে সামান্য দূরত্বে হযরত বাহাউদ্দিনের(রহ:) মায়ের কবর রয়েছে৷ আমাদের সঙ্গীরা তার কবর জিয়ারতের জন্য যায়৷ আমরা কমপ্লেক্সের বাগানে অপেক্ষা করতে থাকি৷ সবাই আসলে পরবর্তী গন্তব্য ইসমাইল সামানীর (মসলোম) মাজারে নিয়ে যাওয়া হয়৷
– (চলবে)-
লেখক – পর্যটক, কলামিস্ট, নারী উন্নয়ন কর্মী ও শিক্ষাবিদ, প্রিন্সিপ্যাল, চিটাগং ভিক্টোরী ন্যাশনাল স্কুল- সিভিএনএস