বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

মাত্র দুই ঘন্টার অভিযানে বিভিন্ন স্থান থেকে ৩০ শীর্ষ চাঁদাবাজ আটক

গতকাল (৬ ফেব্রুয়ারি) মাত্র দুই ঘন্টার অভিযানে র‌্যাব-৭ চট্টগ্রামের আওতাধীন চট্টগ্রাম মহানগর, ফেনী, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলার বিভিন্ন স্থানে থেকে অবৈধভাবে চাঁদাবাজির প্রাক্কালে ৩০ জন চাঁদাবাজকে হাতেনাতে আটক করেছে র‌্যাব-৭।

বুধবার(৭ ফেব্রুয়ারি) সংস্থাটির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিজ্ঞাপ নিকট উপর্যপুরী প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অভিযোগে সাম্প্রতিক সময়ে এসব এলাকায় চাঁদা আদায়ের তথ্য ফাঁস হয়েছে।
বিশেষ করে চাঁদাবাজির শিকার হচ্ছে পণ্যবাহী ট্রাক, যাত্রীবাহী বাস, মাইক্রোবাস, সিএনজি অটোরিক্সা এবং বিভিন্ন ব্যক্তিও প্রতিষ্ঠান।
সেই তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত অভিযানে এসব চাঁদাবাজদের ধরা হয়।

এদিন নগনরের কাপ্তাই রাস্তার মাথায় যাত্রীবাহী সিএনজি থেকে চাঁদা আদায়কারী ১৩ জন, পাহাড়তলীর যাত্রীবাহী মিনিবাস থেকে৪ জন, আকবরশাহ এবং এ কে খান মোড় হতে ৩ জন এবং বায়েজিদ থানাধীন অক্সিজেন মোড়ে ট্যাম্পু থেকে চাঁদা আদায়কারী ৬ জনসহ ৩০ জন চাঁদাবাজকে নগদ ৪১,৫৬৩টাকাসহ হাতেনাতে আটক করেছে র‌্যাব।

আটক ব্যাক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকায় তারা প্রতিদিন সিএনজি অটোরিক্সা হতে দিনে ১,০০০টাকা করে মাসে ৪ লক্ষ টাকা চাঁদা আদায় করে।
উক্ত চাঁদার অর্থ শাহেদ রানা, আবুল হোসেন নামক ব্যক্তির নিকট জমা করে বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে ধৃত১৩জন।

পাহাড়তলী থানা এলাকায় টমটম-সিএনজি থেকে মাসে ৮০, ০০০ টাকা চাঁদা আদায় করে খলিলুর রহমান নামক ব্যক্তির নিকট জমিয়ে রাখার তথ্য দিয়েছেন আটকৃতদের কয়েকজন।

আকবরশাহ এবং এ কে খান মোড় এলাকায় নারায়ন দে এর নেতৃত্বে প্রতিদিন ১০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করে সমু এবং নিপু নামক ব্যক্তির নিকট জমা করে।
অক্সিজেন মোড় এলাকায় মোঃ সোহেল এর নেতৃত্বে প্রতি মিনিবাস এবং ট্যাম্পু থেকে মাসিক ৮০০টাকা করে ৮০,০০০চাঁদা আদায় করে নূরুল হক পুতু নামক ব্যক্তির নিকট জমা করে বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রামসহ সারাদেশে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে দেশের সকল শ্রেণীর নাগরিকগণ বাজার করতে গিয়ে দূর্ভোগের স্বীকার হচ্ছেন। কিছু কিছু স্থানে র‌্যাব ও ভোক্তা অধিকারের সমন্বয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে সাময়িক সময়ের জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার স্বাভাবিক থাকলেও পরবর্তীতে আবার পূর্বের মত উচ্চ মূল্যে বিক্রয় হচ্ছে। সাধারণ মানুষের এই দুর্ভোগের বিষয়টি সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ অনলাইন ভিত্তিক নিউজে ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে।

উক্ত জনদূর্ভোগ দূর করার লক্ষ্যে র‌্যাব ফোর্সেস সদর দপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী চট্টগ্রামসহ সারাদেশে র‌্যাবের বিভিন্ন ইউনিটের গোয়েন্দা দল তাদের নিজ নিজ দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় পাইকারী বাজারসহ বিভিন্ন স্থানের চাঁদাবাজির তথ্য উদ্ঘাটনের জন্য কাজ শুরু করে।

মাত্র দুই ঘন্টার অভিযান পরিচালনা করে সর্বমোট ৪১৫৬৩ টাকা উদ্ধার সহ ৩০ জন শীর্ষ চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম।

সিডিএমএস পর্যালোচনা করে গ্রেফতারকৃত ৩০ জন চাঁদাবাজের মধ্যে ১০ জনের নামে হত্যা,দস্যুতা,লুন্ঠন,চাঁদাবাজি, চুরি-ডাকাতিসহ অসংখ্য মামলার তথ্য পাওয়া যায়।

আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলে র‌্যাব পতেঙ্গা সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে।

সর্বশেষ

এই বিভাগের আরও খবর