চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ৪ জন আহত হয়েছে। দু’পক্ষই শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
সোমবার বেলা দুইটার দিকে চটগ্রাম নগরীর হাজী মুহাম্মদ মহসীন কলেজ ক্যাম্পাসে এ সংঘর্ষ হয়।
মূলত ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাজী নাঈম ও চকবাজার থানা ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক তনয় মোহাম্মদ ও ছাত্রলীগ নেতা খুরশিদ বিন সোহাদের অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। দুই পক্ষই শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর অনুসারী বলে ক্যাম্পাসে নিজেদের পরিচয় দেয়।
ছাত্রলীগ নেতা কাজী নাঈম জানান, আজ ক্যাম্পাসে পিঠা উৎসব চলছিল। হঠাৎ করে খুরশিদ বিন সোহাদের অনুসারীরা এসে ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছিল, ছাত্রীদের ইভটিজিং করছিল। পরে তাঁদের বাধা দিলে রামদা দিয়ে নেতা–কর্মীদের আঘাত করেন। এতে ডিগ্রি তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রিয়াদুল হকের হাতের একটি আঙুল কেটে গেছে। এ ছাড়া দ্বিতীয় বর্ষের আইনুল কবির ও আরমান চৌধুরী নামের আরও দুই কর্মী আহত হয়েছেন। পরে আহত ব্যক্তিদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
ইভটিজিংয়ের অভিযোগ অস্বীকার করে চকবাজার থানা ছাত্রলীগের তনয় মোহাম্মদ বলেন, কাজী নাঈমের কিছু জুনিয়র অনুসারী ক্যাম্পাসে সিগারেট খাচ্ছিল। নিষেধ করায় তাঁরা চড়াও হয়। পরে তাদের প্রতিহত করা হয়। এতে খুরশিদ বিন সোহাদ মাথায় আঘাত পেয়েছে। আর আকিবুল ইসলাম নামের এক কর্মী আহত হয়েছে। আহত ব্যক্তিদের চমেক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
জানতে চাইলে চকবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ ওয়ালী উদ্দিন বলেন, ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার পর পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। ক্যাম্পাস শান্ত রয়েছে।