চলমান জনবল সংকট নিরসন ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন করে কাস্টমসকে একটি উন্নত ও আধুনিক প্রতিষ্টানে পরিণত করা হবে।
এ লক্ষে কার্যকরি উদ্যোগ নেবে এনবিআর।
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) চট্টগ্রামে
আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবসের অনুষ্টানে এসব কথা বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (মূসক: বাস্তবায়ন ও আইটি) ড. মইনুল খান।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উদ্যোগে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য: মিলে নবীন-পুরনো অংশীজন, কাস্টমস করবে লক্ষ্য অর্জন।
ড. মইনুল খান বলেন, টিআরএসের ফলাফলে কাস্টমস অংশে সময়ক্ষেপণ কম। অন্য সংস্থার বেশি।
এখানে ৮ হাজার ডকুমেন্টেশন হয়। সে তুলনায় জনবল ও অবকাঠামো কম।
তিনি বলেন, কাস্টমসের সঙ্গে ভ্যাট ও করের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। পণ্য উৎপাদন যথাযথ হলে আয়কর ও ভ্যাট আদায় বাড়বে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট আপিল কমিশনারেটের কমিশনার মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, কর কমিশনার মো. শাহাদাৎ হোসেন শিকদার, চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালক একেএম আকতার হোসেন, মেট্রোপলিটন চেম্বারের সহ-সভাপতি এএম মাহাবুব চৌধুরী, উইম্যান চেম্বারের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবিদা মোস্তফা।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার সৈয়দ মুসফিকুর রহমান।
তিনি বলেন, বাণিজ্য সহজীকরণ, বিনিয়োগ বৃদ্ধি, রপ্তানি উন্নয়ন, জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা, চোরাচালান রোধ, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ঝুঁকি প্রতিরোধ, দেশি শিল্পের বিকাশসহ কাস্টমসের অনেক দায়িত্ব। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে রাজস্ব আহরণ। দেশের ২৮ শতাংশ রাজস্ব আসে কাস্টমস থেকে। কাস্টমসের মূল ফোকাস এখন ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন। দেশে অটোমেশনে কাস্টমস পাইওনিয়ার।
ভ্যাট কমিশনার মো. মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, পৃথিবীর পরিবর্তন হচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে। কাস্টমস দিবসে আমরা দেশপ্রেমের শপথ নিয়ে থাকি। আমাদের চেষ্টা থাকবে সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়া। আমরা অর্থনৈতিক উন্নয়নে অনেক দূর এগিয়ে যেতে চাই। এ যাত্রা হবে সম্মিলিত-সমন্বিত।
অনুষ্টানে সভাপতিত্ব করেন কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট ট্রেনিং একাডেমির মহাপরিচালক সুরেশ চন্দ্র বিশ্বাস।
সহকারি কমিশনার সুলতানুল আরেফিন ও আফরিন জাহান নওমিনের সঞ্চালনায় এতে স্বাগত বক্তব্য দেন কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. ফাইজুর রহমান।