মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

সাতকানিয়ায় চার সন্ত্রাসীকে গণধোলাই

চার ভাড়াটে সন্ত্রাসীকে গণপিটুনি দিয়ে বন্দুকসহ পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা।
ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা একজনের পক্ষ হয়ে সাবেক এক ইউপি সদস্যের চাষ করা জমির ঘাঁস কাটতে গিয়েছিল।

শনিবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে সাতকানিয়া উপজেলার কেঁওচিয়া ইউনিয়নের মাদারবাড়ি এলাকার প্রবেশমুখে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় ভাড়াটেদের আক্রমনে আহত হয়েছেন কেঁওচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য ও জমির মালিক আবদুল মন্নান। তিনি একই ইউনিয়নের মাদারবাড়ি এলাকার মৃত কালু মিয়ার ছেলে।

পুলিশের হাতে সোপর্দ করা চার জন হলেন, ঢেমশা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড আলমগীরপাড়ার মোহাম্মদ হারুনের ছেলে ফয়সাল উদ্দিন, একই এলাকার হারুনের ছেলে মোহাম্মদ সানজিদ, ৫ নম্বর ওয়ার্ড মাইজপাড়া এলাকার হেলাল উদ্দিনের ছেলে শাহাদত হোসেন মিশু ও খোরশেদ আলমের ছেলে জাসেদ বিন সাদেক।

হামলায় আহত সাবেক ইউপি সদস্য আবদুল মান্নান বলেন, কেঁওচিয়ায় আমি ৮০ শতক জমিতে ঘাস চাষ করেছি। আজ জমিতে গিয়ে দেখি চার যুবক আমার ঘাস কেটে নিয়ে যাচ্ছে। আমি তাদের বাধা দিলে আমাকে গুলি করার হুমকি দেয়। আমি সেখান থেকে চলে আসলে রাস্তারমাথা এলাকায় সানজিদ
১০/১২ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী নিয়ে আমার উপর হামলা করলে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাদের মধ্যে চারজনকে আটক করে। তখন স্থানীয় জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
সানজিদ এসব সন্ত্রাসীদের ভাড়া করেন বলে অভিযোগ মান্নানের।

স্থানীয় এক বলেন, সাতকানিয়া রাস্তারমাথা, কেরানিহাট এলাকার বিভিন্নস্থানে এরা দখলদার বাহিনী হিসেবে পরিচিত, অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি করাই এদের কাজ। আমরা সন্ত্রাস প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধ।

সাতকানিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউল হক চৌধুরী বলেন, অস্ত্রসহ চারজনকে মারধর করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে জনগণ। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় কেঁওচিয়ার সাবেক ইউপি সদস্য আবদুল মন্নান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করবেন।

সর্বশেষ

এই বিভাগের আরও খবর