মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

চট্টগ্রামে উচ্ছেদ অভিযান, ভাঙ্গা হয়েছে হোটেলসহ ৬ স্থাপনা

চট্টগ্রাম মহানগরের জহুর হকার্স মার্কেট সংলগ্ন দুটি রেস্তোরাসহ অন্তত ৬ টি স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।
রোববার(১৪ জানুয়ারি) দুপুর ১২ টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত পরিচালিত এক উচ্ছেদ অভিযানে এসব স্থাপনা ভেঙ্গে দেয়া হয়।

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের নির্দেশে পরিচালিত এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো: তৌহিদুল ইসলাম।

সিএমপি’র ৩০ জন পুলিশ সদস্য, পিডিবির প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ান, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশনের প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ান এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের টিমের সহযোগিতায় অভিযানে
কোতোয়ালী থানার আন্দরকিল্লা মৌজার বি.এস. ০১ নং খাস খতিয়ানের ৩০৩০ দাগের ৮.৫১ শতক জমি অবৈধ দখলমুক্ত করা হয়েছে।
উদ্ধারকৃত জায়গা সড়ক প্রসস্ত করনের কাজে ব্যবহার হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম মহানগরের কোতোয়ালী থানাধীন আন্দরকিল্লা মৌজায় অবস্থিত পরীর পাহাড়(কোর্ট বিল্ডিং)এ বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ আদালত, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতসহ প্রায় ৩০টি সরকারি অফিস এবং আদালত রয়েছে।

এখানে প্রতিদিন প্রায় ২০ হাজার লোক সরকারি সেবা নিতে ও বিচারের প্রত্যাশায় যাতায়াত করে। এতে বিপুল পরিমাণ লোকজনের যাতায়াতে ছোট্ট একটি রাস্তায় প্রতিনিয়ত তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয় এমনকি মুমূর্ষু অসুস্থ কোনো লোককেও চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। এত বিপুল সংখ্যক সেবা প্রত্যাশীকে বিশ্রামাগার, টয়লেট, সুপেয় পানি কিংবা অন্যান্য সুযোগ সুবিধা দেওয়ার মত উন্মুক্ত কোনো স্থান এখানে নেই।

অবৈধ এ স্থাপনাগুলোর কারণে জহুর হকার্স মার্কেট সংলগ্ন পরীর পাহাড় থেকে নামার রাস্তায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হচ্ছিলো। অবৈধ স্থাপনা সমূহ পরীর পাহাড়ের রাস্তাকে খুবই সরু করে ফেলেছে।
কোন ধরনের অগ্নিকান্ড ঘটলে অগ্নি নির্বাপক গাড়ি যাওয়ার মতো পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। তাছাড়াও জেলা পুলিশ ও কারা কর্তৃপক্ষ উক্ত রাস্তা ব্যবহার করে শত শত আসামি/কয়েদীদের প্রতিনিয়ত বিজ্ঞ আদালতে আনা নেওয়া করে থাকেন।

সর্বশেষ

এই বিভাগের আরও খবর