নিজ গ্রাম বাথুয়ায় আনন্দঘন,স্মৃতিময় কিছু সময় কাটিয়ে গেলেন এলাকার কৃতি সন্তান নোবেলজয়ী, বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তিত্ব প্রধান উপদেষ্ঠা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তাঁকে কাছে পেয়ে তারা ছিলেন উচ্ছসিত, আবেগাপ্লুত। স্মৃতি ও প্রীতির মানুষগুলোকে কাছে পেয়ে বললেন “অনরা ক্যান আছন”?
মা ও মৃত্তিকাগন্দ্ধী চট্টগ্রামের আন্চলিক ভাষার এ কথা শুনে উপস্হিত সবাই মুগ্দ্ধ ও আপ্লুত।
আজ বুধবার বিকালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তনের অনুষ্ঠান শেষে নিজ গ্রাম হাটহাজারী উপজেলার বাথুয়া গ্রামের পৈতৃক বাড়িতে যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বিকাল ৫টার পর সেখানে পৌঁছে হাজী মোহাম্মদ নজু মিঞা সওদাগর বাড়ির অদূরে নুরালী বাড়ি উপডাকঘর সংলগ্ন কবরস্থানে শায়িত দাদা-দাদিসহ প্রয়াত স্বজনদের কবর জিয়ারত করেন।
এরপর সেখানে মাঠে সমবেত গ্রামবাসীর সামনে হাজির হয়ে নিকটাত্মীয় ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং বক্তব্য দেন।
বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নিজের শৈশবের স্মৃতিচারণ করেন। মাঝে মাঝে দুষ্টুমিতেও মেতে ওঠেন তাদের সঙ্গে। শিশুবেলা, কৈশোরকাল, প্রাথমিক পাঠ সব স্মৃতি একে একে তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘এসেছিলাম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে।
এ সুযোগে আপনাদের সঙ্গে দেখা করে গেলাম। আমার খুব ভালো লাগছে, সবার সঙ্গে দেখা হল। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন। ’ পরে সন্ধ্যা ৬টার দিকে প্রধান উপদেষ্টা ঢাকার উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমান বন্দরের পথে রওনা হন।
এ সময় রাস্তার দু’ধারে হাজারো মানুষ হাত নেড়ে প্রধান উপদেষ্টাকে বিদায় জানান।
চাটগাঁর চোখ/ এম এ/ এস এইচ