অকটেন দুর্ঘটনায় গুরুতর দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গিয়াস উদ্দিন(২০) নামের এক যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।
গত ১ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার আমিলাইশ ইউনিয়নের পশ্চিম ডালু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, গিয়াস স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যের মোটরসাইকেলের জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ায় অপর একটি মোটরসাইকেল নিয়ে অকটেন কিনতে যায, অকটেনভর্তি প্লাস্টিকের বোতলটি মোটরসাইকেলের পাশে রশি দিয়ে বেঁধে নিয়ে আসে।
আসার পর গিয়াস রশিটি খোলার চেষ্টা করে খুলতে না পেরে রশিতে আগুন লাগিয়ে খুলতে চায়।
এক পর্যায়ে আচমকা বিস্ফোরণ ঘটে এবং আগুন তাকে আচ্ছন্ন করে ফেলে।
স্থানীয়রা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে গিয়াসকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নিয়ে আসেন। তবে এক সপ্তাহ চিকিৎসা নিলেও সোমবার রাতে মারা যায় সে।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিতন সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। “আরো তদন্তের জন্য একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অপর এক অগ্নিকান্ডের ঘটনায় মীরসরাইয়ে নগদ দেড় লাখ টাকাসহ ৫ বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার ইছাখালী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের জমাদার গ্রামের সিদ্দীক ডাক্তার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো হলো- ওই বাড়ির আব্দুর রহমান, খোরশেদ আলম, নুরুল আলম মানিক, শফিউল আলম ও নাছির উদ্দিন। অগ্নিকাণ্ডে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, আসবাবপত্র, প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি তাদের।
এ ছাড়াও উপজেলার ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের ইছামতি গ্রামের এয়ার আলী হাজি বাড়িতে সোমবার দিবাগত রাতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তবে আগুন বেশি ছড়িয়ে পড়ার আগেই এলাকাবাসী ও ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসায় তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
ইছাখালী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মীর হোসেন জানান, মঙ্গলবার সকালে আমার ওয়ার্ডের জমাদার গ্রামে সকাল ১০টার দিকে বৈদ্যুতিক শটসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যে ৫টি বসতঘর পুড়ে মাটিতে মিশে গেছে। পরনের কাপড় ছাড়া কিছুই রক্ষা করা সম্ভভ হয়নি।