মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

চট্টগ্রামের ৪ আসনে নতুন মুখ একটিতে জাতীয় পার্টি

শুরু থেকেই বোঝা যাচ্ছিল চট্টগ্রামের ৪ আসনে পাল্টে যেতে পারে ভোটের হিসাব নিকাশ।এ ৪ আসন হলো বোয়ালখালী,পটিয়া,সাতকানিয়া ও বাঁশখালী।বোয়ালখালীতে নোমান আল মাহমুদ মনোনয়ন পেলেও শেষ পর্যন্ত সমঝোতার কারণে তিনি সরে যাওয়ার পর এলেন জাতীয় পার্টির সোলায়মান আলম শেঠ। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে থাকলেন আব্দুচ ছালাম।সিডএ চেয়ারম্যান থাকাকালে নগরীর বিভিন্ন কর্মকান্ডের জন্য আলোচনা সমালোচনায় থাকায় স্বতন্ত্র একটা ভাবমূর্তি ছিল তার -যেটা অপর দুই নিকটতম প্রতিপক্ষ  প্রার্থীর তুলনায় অনেক বেশি।ভোটের ফলাফলও তাই হলো।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই আসনের ভোটারদের প্রতিক্রিয়ায়ও দেখা গেল স্বস্তি। লেখক প্রকাশক নুরুল আবসার লিখেছেন বোয়ালখালী হলো দুশ্চিন্তামুক্ত।

পটিয়ায় হুইপ শামসুল হক বলতেন “পটিয়া আমার আমি পটিয়ার”।পড়ে থাকতেন এলাকায়, কাজে অকাজে,কারণে অকারণে। কিন্তু নৌকা পাননি।ঈগল নিয়ে প্রচারণায় বাধাগ্রস্ত হয়েছেন, সংঘাতও হয়েছ, প্রায় প্রতিদিন। নৌকা না পাওয়া প্রসঙ্গে তিনি প্রচারণায় বলে আসছিলেন তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে। তিনিও হেরেছেন বীর মুক্তিযেদ্বা, নতুন মুখ চাওয়া পটিয়ার ভোটারদের প্রিয় মোতাহেরুল ইসলামের সাথে ভোট যুদ্ধে। জেতার সব উপাদান মোতাহেরুলের পক্ষে অতি সক্রিয় ছিল বলে পটিয়ার অনেকেই মনে করেন।

সাতকানিয়া মানে আবু রেজা নদভী এমন একটা মনোভাব কাজ করত সাতকানিয়ার লোকজনের মধ্যে। অর্থ বিত্ত প্রভাব প্রতিপত্তি,বিদেশ কানেকশন সব মিলিয়ে তিনি হেভিওয়েট। পেলেন নৌকার মনোনয়নও।কিন্তু অতি দৃঢভাবে লড়াইয়ে থাকা আব্দুল মোতালেব সিআইপির সাথে পেরে উঠতে পারলেন না নদভী।সাতকানিয়া সদরের এক ভোটারের মতে সাতকানিয়ার মানুষ পরিবর্তন চাইছিল।এবার সেটা সফল হয়েছে।

আরেক ওলট-পালট হিসাব দেখল বাঁশখালীবাসি।বর্তমান এমপি মোস্তাফিজুর রহমান নৌকার মনোনয়ন পেলেও প্রবল শক্তিধর দুই স্বতন্ত্র  প্রার্থীর কাছে,শুরু থেকেই হেরে আসছিলেন।কারণপ অকারণে রাগ,ক্ষমতা প্রদর্শন এসব করে নিজের ভাবমূর্তিকে তলানিতে নিয়ে গেলন এবং ইসির শাস্তির সম্মুখীন হলেন।শেষতক এখানেও পাল্টে গেল হিসাব।তার এসব আচরণ ক্ষোভ তৈরির পাশাপাশি হারের ক্ষেত্র তৈরি করছিল। এবং তা-ই হলো।

চট্টগ্রামের এ ৪ আসনে পরিবর্তনের যে আভাস পাওয়া যাচ্ছিল ভোটের ফলাফলে তা-ই সত্য হলো।
চট্টগ্রামের ১৬ আসনের মধ্যে এ ৪ আসন ছাড়া একটিতে জাতীয় পার্টি, বাকি আসনগুলোতে
নৌকার বিজয়ী প্রার্থীরা  বিজয়ী হয়েছেন।বিজয়ীরা হলেন, চট্টগ্রাম-১ আসনে নৌকা প্রতীকে মাহবূবূড় রহমান রুহেল, চট্টগ্রাম-২ আসনে নৌকা প্রতীকে খাদিজাতুল আনোয়ার সনি, চট্টগ্রাম-৩ আসনে নৌকা প্রতীকে মাহফুজুর রহমান মিতা, চট্টগ্রাম-৪ আসনে নৌকা প্রতীকে এস এম আল মামুন,চট্টগ্রাম-৫ আসনে লাঙল প্রতীকে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, চট্টগ্রাম-৬ আসনে নৌকা প্রতীকে এবিএম ফজলে করিম চৌধুরি, চট্টগ্রাম-৭ আসনে নৌকা প্রতীকে ড.হাছান মাহমুদ, চট্টগ্রাম-৮ আসনে কেটলি প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুছ ছালাম, চট্টগ্রাম-৯ আসনে নৌকা প্রতীকে ব্যারিস্টার মহিবুল হাছান চৌধুরি নওফেল, চট্টগ্রাম-১০ আসনে নৌকা প্রতীকে, মহিউদ্দীন বাচ্চু,চট্টগ্রাম-১১ আসনে নৌকা প্রতীকে এম এ লতিফ, চট্টগ্রাম-১২ আসনে নৌকা প্রতীকে মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরি, চট্টগ্রাম-১৩ আসনে নৌকা প্রতীকে সাইফুজ্জামান চৌধুরি জাবেদ, চট্টগ্রাম-১৪ আসনে নৌকা প্রতীকে নজ্রুল ইসলাম চৌধুরি, চট্টগ্রাম-১৫ আসনে ঈগল প্রতীকে আব্দুল মোতালেব, চট্টগ্রাম-১৬ আসনে ঈগল প্রতীকে মুজিবুর রহমান।

সর্বশেষ

এই বিভাগের আরও খবর