স্বাদে-গন্ধে নিজস্বতায় দেশজুড়ে বগুড়ার দইয়ের আলাদা একটা খ্যাতি আছে। এ খ্যাতির বারোটা বাজাচ্ছিল আতুরারে ডিপোর একটি কারখানা। ব্র্যান্ড পপুলারিটি কাজে লাগিয়ে এখানে বসে তারা বানাচ্ছিল বগুড়ার দই।নাম দিয়েছে ‘বগুড়ার মিষ্টি দই’।
এই বগুড়ার দইকে লোকজন ভালো চোখে দেখেনি। গোপনে কেউ কেউ খবর পৌঁছিয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের টিম আজ বৃহস্পতিবার দুপরে এল অভিযানে।
অভিযানে দেখা গেল অনুমোদনহীন ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে দই বানাচ্ছে আতুরার ডিপোর এ কারখানা। ‘বগুড়ার মিষ্টি দই’ নামে এ কারখানায় অভিযান চালিয়ে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
দেড় ঘণ্টাব্যাপী এ অভিযান পরিচালনা করা হয় জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই) চট্টগ্রাম মেট্রো শাখার তথ্যের ভিত্তিতে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক আনিসুর রহমানের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত এ অভিযান চালান।
অভিযানে দেখা যায়, কারখানাটিতে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউটের (বিএসটিআই) অনুমোদন ছাড়া অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে দই তৈরি করা হচ্ছিল, তাও আবার বগুড়ার দই। জনস্বাস্থ্য ঝুঁকির এ অপরাধে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯-এর ৪৩ ও ৪৪ ধারা মোতাবেক প্রতিষ্ঠানটিকে নগদ ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয় এবং দই তৈরির সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়।
এ ছাড়া, কারখানা কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করা হয় এবং বিএসটিআইয়ের অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত দই উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানটি এ বিষয়ে লিখিত অঙ্গীকারনামাও দিয়েছে বলে জানা গেছে।
স্হানীয় লোকজন কারখানাটি কবে থেকে বগুড়ার দই তৈরি করছিল এ সম্পর্কে নির্দিষ্ট তথ্য দিতে না পারলেও জানিয়েছে, দীর্ঘদিন অনেকটা নিরবে এ ব্যবসা করে যাচ্ছিল তারা।
শামীম নামে কারখানার পাশে বসবাসকারি এক ব্যক্তি বলেন “ওদের নিজস্ব ভ্যানে করে দইগুলো বিভিন্নস্হানে নিয়ে যেতে যেতে দেখা যায়”।শামীম খানিকটা মজা করে চট্টগ্রামের ভাষায় বলেন “আতুরার ডিপোত বগুড়ার দই, দুখ্খর কথা কারে কই”- জরিমানা গইরগে খুব ভালা অইয়্যে।
চাটগাঁর চোখ/এআই/জই