ওয়াসার সাবেক গাড়িচালক তাজুল ইসলাম ও তার স্ত্রী খাইরুন নেসার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় শুনানী শেষে আজ বৃহস্পতিবার দুদকের অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত।
মহানগর দায়রা জজ মো. নুরুল ইসলাম মামলাটির বিচার নিষ্পত্তির জন্য বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে স্থানান্তরের আদেশ দেন। পরবর্তী তারিখে মামলার বিচার শুরু হবে।
জানা গেছে, ১৯৮৯ সালে দুই হাজার টাকা বেতনে চট্টগ্রাম ওয়াসায় চালকের সহকারী (হেলপার) হয়ে চাকরি শুরু করেছিলেন তাজুল ইসলাম। এরপর তিনি ‘প্রমোশন’ পেয়ে হন গাড়িচালক।
দুদক ২০২২ সালের ৫ মার্চ তাজুল ইসলাম ও তার স্ত্রী খাইরুন নেসার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর ২০২৩ সালে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আরও দুটি মামলা রয়েছে।
তিন বছর মামলার তদন্ত শেষে চলতি বছরের শুরুতে আদালতে দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন দুদক চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক মো. এমরান হোসেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, স্ত্রী ও নিজের নামে তাজুল ইসলাম নগরের রৌফাবাদ এলাকায় ২০০২ সালে তিন শতক জায়গা কিনে পাঁচতলা বাড়ি করেন। অথচ তার গৃহিণী স্ত্রীর আয়ের কোনো উৎস নেই।
নিজের অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থকে বৈধতা দিতে স্ত্রীর নামে জমি কিনে পাঁচতলা বাড়ি করেন তাজুল। তারা বাড়িটির অর্ধেক নির্মাণের ব্যয় দেখান ২৫ লাখ ৬১ হাজার টাকা। কিন্তু তদন্তে দুদক গণপূর্ত চট্টগ্রামের তিন উপপ্রধান প্রকৌশলীর মাধ্যমে নিরপেক্ষ তদন্ত করে পায় ৩৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকা।
এ ছাড়া স্ত্রীর নামে ব্যাংকে নগদ টাকাসহ অস্থাবর সম্পদ পাওয়া যায় আরও ২১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। স্ত্রীর নামে মোট ৫৯ লাখ ৮৯ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ পায় দুদক।
এমএ/জই