চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে পরকীয়া প্রেমিকের সহযোগিতায় স্বামীকে কুপিয়ে হত্যার দায় নিজে স্বীকার করেছে ঘাতক স্ত্রী রোমানা।
সীতাকুণ্ড উপজেলার সোনাইছড়ী ইউনিয়নের দক্ষিণ সোনাইছড়ী (গামারীতল) গ্রামে গত ২৪শে ডিসেম্বর রাতে ছুরিকাঘাতে নিহত ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলমগীরের স্ত্রী রোমানা আক্তার রুমি (১৯) গত বুধবার বিকালে চট্টগ্রাম সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
জবানবন্দিতে রুমি জানান, বিয়ের আগে থেকে একটি ছেলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত সেপ্টেম্বরের ২২ তারিখ পরিবারের চাপে উপজেলার সোনাইছড়ী ইউনিয়নের দক্ষিণ সোনাইছড়ী গ্রামের (গামারীতল) আফাজ উল্লাহর ছেলে আলমগীরের সঙ্গে রুমির বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার পরও আগের প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্ক চলতে থাকে তার। স্বামী আলমগীর বেশির ভাগ সময় নিজের দোকানে ব্যস্ত থাকার কারণে শ্বশুরবাড়িতে স্ত্রী রুমি ঘরে একা থাকতো। সেই সুযোগে রুমির সঙ্গে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফোনে আলাপ চলতো প্রেমিকের। রুমি বলেন, সে আমাকে পাওয়ার জন্য অস্থির হয়ে পড়ে। তখন সে আমাকে বলে, তুমি আমার কাছে চলে আসার জন্য কি করতে হবে বলো? তোমার স্বামীকে মেরে ফেললে তুমি আমার কাছে আসবা? তখন আমি রাজি হই এবং ওকে বলি ঠিক আছে তোমার সাহস থাকলে ওকে মেরে ফেলো। ওকে মেরে ফেলতে পারলে আমি তোমার কাছে চলে যাবো।
ঘটনার দিন রাতে রুমির প্রেমিক আরও ২/৩ জনসহ আলমগীরকে দোকান থেকে আসার পথে ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে হত্যা করে। হত্যার পরপরই প্রেমিক রুমিকে ফোন দিয়ে হেসে হেসে বলে তুমি কি করতেছো? কাজ শেষ করে দিয়েছি। এবার তো তুমি আমার কাছে চলে আসবা। ঘটনার দিনই রাতে সন্দেহজনকভাবে স্ত্রী রুমিকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে সীতাকুণ্ড মডেল থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ মোবাইল কল লিস্টের মাধ্যমে নিশ্চিত হন আলমগীরকে স্ত্রী রোমানা আক্তার রুমি প্রেমিককে দিয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটান। সীতাকুণ্ড থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামাল উদ্দিন পিপিএম বলেন, হত্যার পরপরই আমাদের সন্দেহ হয় স্ত্রী পরকীয়ার জন্য স্বামী আলমগীরকে হত্যা করান। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতে রুমি দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।
nu/rt/cc