মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, চট্টগ্রামের প্রত্যেকটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বর্জ্য সংগ্রহের প্লাস্টিক বিন বিতরণ শুরু করেছি। দুই-তিন মাস পর বর্ষা। বর্ষায় জলাবদ্ধতা আমাদের শহরের প্রধান সমস্যা। তাই যত্রতত্র ময়লা ফেললে জলাবদ্ধতায় সবাই ভোগান্তিতে পড়ব। এজন্য পলিথিন, প্লাস্টিক, কর্কশিটসহ অপচনশীল দ্রব্যাদি কোনো ভাবেই নালায় ফেলা যাবে না।
রোববার বিকালে কাজির দেউরী বাজার ব্যবসায়ীদের মাঝে বর্জ্য বিন বিতরণ অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বেলন, আমার নির্বাচনের মূল কমিটমেন্ট এই শহরকে সুন্দর করা ক্লিন সিটি, গ্রিন সিটি, হেলদি সিটির আওতায় আনা। আমি সেটাই করব, ইনশাআল্লাহ।
এ সময় তিনি বলেন, আমরা আজকে বাজারে ডাস্টবিন বসাচ্ছি। এটা শুধু বাজারে নয় ছোট ছোট ডাস্টবিন প্রত্যেকটা দোকানের সামনে দিয়ে দিব। আমরা চাই ময়লা আবর্জনা সবাই খোলা জায়গায় না ফেলে সুনির্দিষ্ট ডাস্টবিনগুলোতে যাতে ফেলে। তাহলে আমরা শহরকে সুন্দর রাখতে পারব। আমি মনে করি প্রত্যেকটা দোকানদার তার দোকানের ময়লা-আবর্জনা নির্দিষ্ট ডাস্টবিনে ফেলবে। কোন পথচারী যদি রাস্তা বা নালায় ময়লা ফেলে তাকে অনুরোধ করবেন ওই ময়লা উঠিয়ে নিয়ে সেটা ডাস্টবিনে ফেলতে। দোকানের সামনে বর্জ্য সংগ্রহের প্লাস্টিকের বিন দেওয়ার পরেও ময়লা পড়ে থাকলে সে দোকানের তার ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করা হবে ।
তিনি বলেন, নগরীতে এখন ব্যানার, পোস্টার দেখতে পাচ্ছি এগুলো নগরীর সৌন্দর্য বিনষ্ট করছে। আপনারা জানেন আমরা প্রত্যেকটা ওয়ার্ডকে গ্রিন সিটির আওতায় আনতে যাচ্ছি। আমরা প্রথমে গণসচেতনতার দিকে যাচ্ছি। এরপর আইন আছে। নগরীকে সুন্দর করার জন্য আমাদেরকে ইমপ্লিমেন্ট করতে হবে। আমি একটু আগে বলেছি ট্রেড লাইসেন্সর কথা। এটা শুধু মুখের কথা নয়। এটা প্র্যাকটিক্যালি আপনারা দেখতে পাবেন। কাজেই আমরা আপনাদেরকে বলতে চাই যে, এ শহর হচ্ছে আমাদের সবার। এই শহর আমার একার নয়। এই শহর মধ্যে আপনারা হাঁটছেন, আপনার নেক্সট জেনারেশন হাঁটবে, আপনার ছেলেরা হাঁটবে। কাজেই এই শহরকে সুন্দর করার দায়িত্ব আপনাদের আমাদের সবার।
বিন বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, শাহ আলম ,জিয়াউদ্দীন খালেদ, ডা. সরওয়ার আলম, জাকির হোসেন, নুর হোসেন, শফিক আহমেদ, চউক কাজির দেউরি কাঁচা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবদুর রাজ্জাক, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, রফিকুল ইসলাম সর্দার, শফিকুল ইসলাম খোকন, নাছির, সরোয়ার, আবুল হোসেন, ইকবাল হোসেন।
এনইউ/জই