বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া চট্টগ্রামের দুই পরিচিত মুখ রাসেল আহমেদ ও খান তালাত মাহমুদ রাফির বিরোধ এবার প্রকাশ্যে এসেছে। তবে এ বিরোধের নেপথ্যে কী? তা এখনো স্পষ্ট নয়।
এদিকে কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ ও চট্টগ্রামের সমন্বয়ক রাসেল আহমেদকে অবরুদ্ধ করে পেটানোর অভিযোগও এসেছে আরেক সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফির বিরুদ্ধে। শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন রাসেল আহমেদ। এর আগে বিকালে চট্টগ্রাম ওয়াসার মোড়ের একটি অফিসে তাদের পেটানো হয়।
এর জেরে রাতে রাসেল আহমেদের নেতৃত্বে সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়েছিল। সেখানে তারা ঘটনার বর্ণনা দিচ্ছিলেন। সেসময় সেখানে উপস্থিত হন সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি। এ সময় রাসেল আহমেদরা খান তালাতের নেতৃত্বে ডট গ্যাং হামলা করেছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলন ছেড়ে উঠে যান। এতে দুই পক্ষের মধ্যে হট্টগোল সৃষ্টি হয় এবং তাদেরকে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করতে দেখা যায়। এসময় তালাত মাহমুদকে উদ্দেশ্যে করে কয়েকজন স্লোগান দেন- ‘চাঁদাবাজদের আস্তানা এই বাংলায় হবে না।’ এছাড়া একজনকে এসময় রাফির দিকে তেড়ে আসতে দেখা যায়।এ সময় রাফিকে নিরুত্তাপ প্রতিক্রিয়াহীন দেখাচ্ছিল।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ‘ডেইলি বাংলাদেশ’ নামে একটি মিডিয়ায় খান তালাত মাহমুদ রাফির বিরুদ্ধে তার একাউন্টে অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়। তবে পরবর্তীতে তারা নিউজটি সরিয়ে ক্ষমা চায়।
এদিকে আজকের সংঘর্ষ সম্পর্কে জানা যায়, ওয়াসা মোড়ে একটি অফিসে অবস্থান করছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ ও সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ। এ সময় ‘ডট গ্যাং’ সদস্যরা ওই অফিস অবরোধ করে।অভিযোগ করা হচ্ছে ডট গ্যাং সদস্যরা নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের আশীর্বাদপুষ্ট। একপর্যায়ে তারা হামলা চালায়। ওই সময় রাসেল এই হামলার বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে সংবাদ সম্মেলনের ঘোষণা দিয়েছিল।
এর আগে জুলাইয়ের ঘোষণাপত্রের পক্ষে চট্টগ্রামে পথসভা, জনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বিকাল ৩টায় নগরের বিপ্লব উদ্যানে পথসভা করে লিফলেট বিতরণ ও জনসংযোগ শুরু করেন তারা। পরে পথসভায় বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ ও সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ।
এদিকে, রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে সমন্বয়কদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে নানা হুমকি, ভীতি ও প্রতিশোধমূলক বক্তব্যের পর সাম্প্রতিককালে বিরোধের ঘটনা তাদের ভেতরকার ঐক্য বিনষ্টের কৌশল হয়ে থাকতে পারে। যদিও ভিন্নমত পোষণকারীদের অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ সব ঘটনাকে ‘ভাগ বাটোয়ারার গন্ডগোল’ আখ্যা দিয়ে বক্তব্য প্রচার করছে।
এনইউ/জই