চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) অধীনে নেওয়া ১৩ প্রকল্পের অনিয়ম তদন্ত শুরু হয়েছে। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের গঠিত কমিটি
যে ১৩টি প্রকল্পের বিষয়ে তদন্ত কমিটি কাজ করবে সেগুলোর মোট ব্যয় প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। এরমধ্যে ছয়টি প্রকল্পের কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। চলমান সাতটির কাজ। শনিবার কমিটির সদস্যরা সিডিএ কার্যালয়ে এসে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
সিডিএ’র এই প্রকল্পগুলো হল- নগরীর লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বহদ্দারহাট ফ্লাইওভার, মুরাদপুর ফ্লাইওভার, কদমতলী ফ্লাইওভার, নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প, কালুরঘাট থেকে চাক্তাই পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ প্রকল্প, বাকলিয়া সংযোগ সড়ক, সিটি আউটার রিং রোড প্রকল্প, সিডিএ স্কয়ার প্রকল্প, কল্পতরু প্রকল্প, সল্টগোলা ডরমেটরি প্রকল্প, বায়েজিদ লিংক রোড ও চট্টগ্রাম মহানগরীর মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন প্রকল্প।
শনিবার দুপুরে সিডিএ’র সম্মেলন কক্ষে এসব প্রকল্পের পরিচালকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা। এরপর তারা প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনে যান।
কমিটির সদস্য সচিব হলেন- সিডিএ’র সচিব রবীন্দ্র চাকমা। আর সদস্যরা হলেন- গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা শাখার উপসচিব নাজমুল আলম, সিডিএ’র বোর্ড সদস্য স্থপতি জেরিনা হোসাইন ও অ্যাডভোকেট সৈয়দ কুদরত আলী।
মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে প্রতিবেদন জমা দিতে কমিটিকে দুই মাস সময় দেওয়া হয়েছে। এই তদন্ত কমিটি প্রয়োজনে কারিগরী জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মতামত নিতে পারবে।
প্রকল্পগুলোর কী কী কাজ হয়েছে এবং কী কী কাজ হয়নি, কেন হয়নি তা জানাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া প্রকল্প নেওয়ার কারণ, কার বা কাদের চাপে প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, কীভাবে ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হয়-এসব বিষয়েও জানতে চাওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
এসব প্রকল্পের সবই নেওয়া হয় সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালামের সময়ে। পরের দুই চেয়ারম্যানের মেয়াদে নতুন কোন প্রকল্প গ্রহণ না হলেও বাস্তবায়ন কাজ শেষ হয়।
এনইউ/ জই