চট্টগ্রামে দখল-দূষণের মাধ্যমে চলা সবুজ প্রকৃতি ধ্বংসযজ্ঞের কার্যক্রম রুখে দিতে ড. মুহাম্মদ ইউনুস সরকারের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছে পরিবেশ ও মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন- বিএইচআরএফ।
সংগঠনটির চেয়ারপারসন এডভোকেট এলিনা খান ও মহাসচিব এডভোকেট জিয়া হাবীব আহ্সানসহ ১০৫ জন আইনজীবী এক যৌথ বিবৃতিতে এ দাবি জানান। তারা বলেন, চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলার প্রায় সর্বত্র নানা কৌশলে টিলা-পাহাড় কর্তন এবং নদী-খাল দখলের উৎসব চলছে। এসব বেআইনি কর্মকাণ্ডে প্রশাসনের দুর্নীতিবাজরা পৃষ্ঠপোষকতা করছে মর্মে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে চট্টগ্রামের জামালখানে আসকার দীঘি এলাকায় ভুল রেকর্ডের ভিত্তিতে পাহাড়কে বাড়ি শ্রেণি দেখিয়ে চউক এর কথিত অনুমোদন নিয়ে পাহাড় কেটে দালান নির্মাণ কাজ চালানো হচ্ছে। এক্ষেত্রে চউক অনুমোদনের শর্ত অনুযায়ী পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র আবশ্যকীয় হলেও নির্মাণকারীরা তার কোনো তোয়াক্কা করছে না। এমনকি তারা পরিবেশ অধিদপ্তরকে ম্যানেজ করে ছাড়পত্র প্রয়োজন নেই মর্মে একটি পত্রও জোগাড় করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এইভাবে প্রভাবশালী কতিপয় চক্র বিভিন্ন জায়গায় পাহাড় কাটার মাধ্যমে চট্টগ্রাম মহানগরীকে ইট পাথরের জঞ্জালের নগরীতে পরিণত করছে। যা নগরীর প্রকৃতি ও পরিবেশের বিরাট ক্ষতির কারণ ঘটাচ্ছে। তাই এই বিষয়ে তড়িৎ ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে প্রফেসর ড. ইউনুসের থ্রি জিরোর ধারণা বাস্তবায়নকে দুরূহ করে তুলবে।
বিবৃতিদাতারা আরো বলেন, ব্যাপক পাহাড় কাটা ও পলিথিনের যথেচ্ছা ব্যবহারের কারণে কর্ণফুলী নদী ভরাট হয়ে বন্দর অচল হওয়ার উপক্রম। ভূমি দস্যুরা নানা কৌশলে এসব প্রকৃতি ও পরিবেশ ধ্বংস করে যাচ্ছে। জাল জালিয়াতির মাধ্যমে মহানগরীর চট্টগ্রামের প্রাণকেন্দ্রে জামালখান রহমতগঞ্জ প্রভৃতি এলাকায় পাহাড় টিলা, পুকুর লিখা খতিয়ান ও রেকর্ড পরিবর্তন করে পাহাড় কেটে সুউচ্চ অট্টালিকা তৈরি করে চট্টগ্রামকে জঞ্জালের নাগরিতে পরিণত করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রকৃতি ও পরিবেশ বিনাশের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ চান আইনবিদরা।
বিবৃতিতে অন্যান্যের মধ্যে স্বাক্ষর করেন, চট্টগ্রাম জেলা সেক্রেটারি এডভোকেট এএইচএম জসীমউদ্দীন, মহানগর সভাপতি ড. শফিকুল ইসলাম, সেক্রেটারি এডভোকেট সৈয়দ মোহাম্মদ হারুন, প্যানেল এডভোকেট আবুল খায়ের, জান্নাতুল নাঈম রুমানা, মোহাম্মদ সাজ্জাদ শরীফ, গৌতম চৌধুরী পার্থ, মোঃ জিয়া উদ্দীন (রানা), এম. সিরাজুল মোস্তাফা মাহমুদ, মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম, মোহাম্মদ শাহজাহান বেপারী, আলহাজ্ব মোঃ আবদুচ ছত্তার, এস.এম নাহিদুর রহমান, এইচ.এস.এম. কামরুল ইসলাম চৌধুরী, মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, হালিমা সাদিয়া বেগম, মোহাম্মদ ইমরান, জিয়াউদ্দীন বাবলু, মোহাম্মদ কাইছার উদ্দীন, রুমানা ইয়াসমিন, শামীম আক্তার, এম আবু বকর তালুকদার, হাজী ফজলুর রহমান, মোহাম্মদ সাহাবুদ্দীন মাহমুদ, মোহাম্মদ জাহিদুল করিম, সালমা বেগম, শেখ মোহাম্মদ তৌহিদুল করিম, কে এম শান্তনু চৌধুরী, আনোয়ার আলী, মোহাম্মদ জামাল হোসাইন, রফিকুল আহসান, শেখ জোবায়ের মাহমুদ, কানিজ কাঊসার চৌধুরী, মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, আলহাজ্ব মোঃ রিদওয়ানুল বারী, হূমায়ুন কবির, মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ্, মোঃ আবু তালেব, মীর ইকরাম উদ্দীন আলমগীর, প্রদীপ আইচ (দীপু), আলমগীর মোহাম্মদ ইউনুস, মোহাম্মদ ইসমাইল গণী, মোহাম্মদ ইসমাইল মোরশেদ, মোহাম্মদ রাশেদুল আলম, আকতার বেগম, সেলিনা হুদা চৌধুরী, খুশনুদ রাইসা উশিকা, মোসলে উদ্দীন চৌধুরী, আলহাজ্ব মোহাম্মদ আলী, মোহাম্মদ আব্দুল মালেক, মোহাম্মদ জিয়াউদ্দীন (আরমান), মোঃ ইসমাইল গণী, মোহাম্মদ রহিম উদ্দিন চৌধুরী, আহমদুর রহমান চৌধুরী, মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী, দেলোয়ার হোসেন, মোঃ নূর মিয়া, আব্দুল্লাহ আল মামুন, সৃজন ধর, মোঃ আনোয়ার হোসেন, খালেদ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দীন, পরেশ চন্দ্র দাশ, সৈয়দ আবুল কাশেম, মোহাম্মদ সাহাবুদ্দীন মাহমুদ, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, আজিজুল ইসলাম চৌধুরী, প্রশান্ত কুমার দাশ, মোহাম্মদ রাশেদ ফারুকী, সুনীল কুমার সরকার, সুমন চৌধুরী, আব্দুল আজিজুল হক চৌধুরী, আলহাজ্ব এম নুরুল আবছার, দিলীপ কান্তি সুশীল, নাছির উদ্দীন, মকছুদুল মাওলা, কাজী মফিজুর রহমান, আবু ওবায়দা মোহাম্মদ সাইদ, প্রণব কুমার বিশ্বাস, জিল্লুর রহমান, মজিবুর মুর্শেদ, মোঃ মুর্শিদ আলম, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, সাইফুদ্দিন মানিক, খন্দকার মিজানুর রহমান, সাব্বির আহম্মদ, ইয়াহিয়া শিকদার, আবু ইসা, আসফাক আহমদ চৌধুরী প্রমুখ।
এনইউ/জই