বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫

ফটিকছড়ির ভান্ডারি মুলার দেশজোড়া খ্যাতি

নয়ন চৌধুরী

ফটিকছড়ির ‘ভান্ডারি মুলা’। যার একটির ওজন কমপক্ষে ৫ কেজি থেকে ১৫ কেজি। প্রতি বছর শীত মৌসুমে এই মুলার দেখা মেলে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায়। এটি মূলত জাপানের একটি জাত। তবে স্থানীয়দের কাছে এটি পরিচিত ভান্ডারি মুলা নামে।

উপজেলার হালদা নদীর চরে বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে চাষ হওয়া জাপানি এই মুলার ওজন ৫ থেকে ১৫ কেজি পর্যন্ত হয়। প্রতিবছর মাঘ মাসে মাইজভান্ডারী ত্বরিকার প্রবর্তক সৈয়দ আহমদ উল্লাহ্ মাইজভান্ডারীর ওরশকে কেন্দ্র করে এই মুলা বিক্রি হওয়ার কারণে ভক্তদের কাছে এটি ভান্ডারী মুলা হিসেবে পরিচিত। সারাদেশ থেকে ওরশে আসা ভান্ডারী ভক্তরা এই মুলা কিনে করে নিয়ে যান।

প্রতিবারের ন্যায় এবারও ১০ মাঘ (২৪শে জানুয়ারি) সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারীর ওরশে ব্যাপক হারে এই মুলা বিক্রয় হবে বলে আশা করছেন এই অঞ্চলের চাষিরা। যদিও ইতোমধ্যে এই মুলা বাজারে চলে এসেছে।
সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, হালদা, সর্তা ও ধুরুং খালের পাড়ে এই মুলার বাম্পার ফলন হয়েছে। একেকটি মুলা ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। হালদার চরে বছরে এ মুলা তিন থেকে চারবার পর্যন্ত চাষ হয়। ফলে মুলা চাষ করে লাভবান হন স্থানীয় চাষিরা। তারা জানান, একেকজন চাষি ৩ মাসে ২ থেকে ৩ লাখ টাকা আয় করেন এই মুলা চাষে।

জানা যায়, হালদার চরের মাটির গুণাগুণ অনেক বেশি। পাহাড়ি ঢলে ভেসে আসা নদীর পলিমাটির উর্বরতা ও হাইব্রিড জাতের বৈশিষ্ট্যের কারণে এই মুলার আকৃতি সাধারণ মুলা থেকে ৮/১০ গুণ বড় হয়। উপজেলা কৃষি অফিসের কৃষি কর্মকর্তারা নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন করছেন এবং কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে এই মুলা চাষে সহযোগিতা করছেন। জনশ্রুতি আছে, মাইজভান্ডারে আগত ভক্তরা এই মুলা নিয়ত (মানত) করে খেলে অনেক উপকার হয়। দেশের নানা প্রান্ত থেকে আগত ভক্তরা এই মুলা ক্রয় করে নিয়ে যাওয়ায় দেশ জুড়ে এর খ্যাতিও অনেক।

এনইউ/জই

সর্বশেষ

এই বিভাগের আরও খবর