ইপসা প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় চসিকের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নতকরণে বিন ও বর্জ্য সংগ্রহকারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন কার্যালয়ে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে তিন রঙের (সবুজ, হলুদ, লাল) বিন বিতরণ এবং বর্জ্য সংগ্রহকারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য গ্লাভস, মাস্ক, এবং গামবুট প্রদান করা হবে।
চসিকের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন ইপসার এই উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, ‘ইপসা নগরীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় যে অবদান রাখছে তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বর্জ্য ব্যবস্থা শেখার মাধ্যমে ক্লিন সিটি গড়তে ভূমিকা রাখবে। তারা শৈশব থেকে পরিবেশ রক্ষায় আগ্রহী হবে। প্লাস্টিক, পলিথিন যথাযথ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে জীবনমানের উন্নয়নে এধরনের অভিনব উদ্যোগকে স্বাগত জানাই’।
চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ইপসা সুদীর্ঘ সময় ধরে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে’।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা ড. কিসিঞ্জার চাকমা, উপ প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব কুমার শর্মাসহ চসিক পরিচালিত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানবৃন্দ এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা। ইপসার পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক (অর্থ) পলাশ কুমার চৌধুরী, পরিচালক (অর্থনৈতিক উন্নয়ন) মো. মনজুর মোর্শেদ চৌধুরী, সহকারি পরিচালক ও ইয়ুথ ফোকাল মো. আব্দুস সবুর এবং প্রকল্পের প্রোগ্রাম ম্যানেজার জনাব অপূর্ব দেবসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ। সহকারী পরিচালক ও প্রকল্প ফোকাল মো. আব্দুস সবুর প্রকল্পের অগ্রগতি ও উন্নয়ন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেন।
তিনি জানান, ২০২২ হতে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ২১,৭৪৩ টন প্লাস্টিক বর্জ্য এই প্রকল্পের মাধ্যমে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার আওতায় আনা হয়েছে। ইপসা, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এবং ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেডের যৌথ উদ্যোগে ২০২২ সাল থেকে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করে আসছে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৪১টি ওয়ার্ডে প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বর্জ্য সচেতনতা বৃদ্ধি, বিন বিতরণ, এবং বর্জ্য সংগ্রহকারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন কার্যক্রম চলছে। যা চট্টগ্রাম শহরকে একটি পরিচ্ছন্ন, স্বাস্থ্যসম্মত এবং পরিবেশবান্ধব শহরে পরিণত করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিশেষ ভূমিকা রাখছে।
এনইউ/জই