চট্টগ্রামের ১৬টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ১৫টিতে প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল বিএনপি। যার মধ্যে শুধু হাটহাজারী থেকে প্রার্থী হওয়া চাকসু ভিপি নাজিম উদ্দিন ছাড়া বাকিদের কোনো অবস্থানই নেই। জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে আত্মপ্রকাশ করা ‘প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক ফোরাম’ নামের দলটির চেয়ারম্যান হলেও নাজিম উদ্দিন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী হয়ে।
ভোটের মাঠে চষে বেড়াচ্ছেন তিনি।চাকসু ভিপি হওয়ার সুবাদে আছে আলাদা পরিচিতি।নির্বাচনে এই ইমেজ ব্যবহারের পাশাপাশি পরিকল্পিত কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে হাটহাজারীকে একটি মডেল টাউনে পারিণত করার মতো আছে এক গুচ্চ প্রতিশ্রুতি ভিপি নাজিমের।
অন্যদিকে নিজেকে প্রধানমন্ত্রীর প্রার্থী দাবি করা জাতীয় পার্টির প্রার্থী ব্যারিস্টার আনিস স্হানীয় আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের ক্ষোভ ও অসহযোগিতার কারণে অনেকটা চ্যালেন্জের সম্মুখীন।তাদের ক্ষোভের কারণ, মনোনয়ন পেয়েও শেষ পর্যন্ত দলীয়৷প্রার্থীর নির্বাচনে থাকতে না পারা।ক্ষুব্দ এ অংশ আনিসের সমাবেশ প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন না বলে স্হানীয় সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা যায়।নির্বাচন কেমন হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে ভোটারদের অনেকেই জানান হাটহাজারী দীর্ঘদিন ধরে উন্নয়ন ও সুবিধা বঞ্চিত। এমনকি সারাদেশে মডেল মসজিদ হলেও হাটহাজারীতে একটা মডেল মসজিদও হয়নি। এবার জনগন তাদের সাথে,এলাকার সাথে যোগাযোগ রাখেন না এমন কাউকে ভোট দেবে না।স্হানীয় আওয়ামীলিগ ও ভোটারদের বৈরি অবস্হানের কারণে ভিপি নাজিমকে কেন্দ্র করে এবার পাল্টে যেতে পারে ভোটের হিসাব এমন ধারণা স্হানীয়দের।
ব্যারিস্টার আনিস বিভিন্ন সমাবেশ জনসংযোগে কে কি করল এসবের প্রতি তাঁর কোন মনোযোগ নেই মন্তব্য করে নিজেকে প্রধানমন্ত্রীর সিলেকশন বলে দাবি করে এলাকার উন্ময়নের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।
অন্যদিকে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী ভিপি নাজিম বলেন দীর্ঘদিনের বঞ্চনা থেকে হাটহাজারীকে মুক্ত করার এবার একটা সুযোগ এসেছে এবং ভোটারদের সাড়াও পাচ্ছি। সুযোগ পেলে পরিকল্পিত হাটহাজারী গড়ার পদক্ষেপ নিব।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ‘সোনালী আঁশ’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন পায় তৃণমূল বিএনপি। এর তিনদিন পর দলটির প্রতিষ্ঠাতা নাজমুল হুদা মারা যান। এরমধ্যে নির্বাচনের আগ মুহুর্তে প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক ফোরামের আত্মপ্রকাশ ঘটে। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) সাবেক ভিপি নাজিম উদ্দিন এবং জিএস আজিম উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন এই দলটির নিবন্ধন না থাকায় তৃণমূল বিএনপির হয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন ফোরামের নেতৃবৃন্দ।
এ ছাড়া হাটহাজারীতে আরো যারা প্রার্থী রয়েছন তারা হলেন,জাপার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ(লাঙল), বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের আবু মোহাম্মদ শামসুদ্দিন (টেলিভিশন), বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির কাজী মহসীন চৌধুরী (একতারা), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশর সৈয়দ হাফেজ আহমেদ (চেয়ার),স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরি (কেটলি) ও ইসলামী ফ্রন্টের সৈয়দ মোখতার আহমেদ ( মোমবাতি)।