কাজ না করে বেতন নেবেন, সেটা আর হবে না। যে কাজকে আপনারা রুজি-রোজগার হিসেবে নিয়েছেন; সেটাকে হক-হালালভাবে করবেন। কোনো ধরনের ফাঁকিবাজির চেষ্টা করবেন না। এ ধরনের কোনো প্রমাণ পাওয়া গেল চাকরি থাকবে না। আমি মনিটরিং করছি। এরকম হলে কঠোর ব্যবস্থা নিব।
রোববার (১ ডিসেম্বর) সকালে নগরের ১৫ নম্বর বাগমনিরাম ওয়ার্ড পরিদর্শনে গিয়ে পরিচ্ছন্নকর্মীদের উদ্দেশে চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন এ হুঁশিয়ারি দেন।
তিনি বলেন, আমি শুনেছি যে আপনারা পরিচিত লোক দেখে দেখে স্প্রে মারেন। যারা পরিচিত তাদের বাসায় মারবেন, যারা অপরিচিত তাদের বাসায় মারবেন না এটা হতে পারে না। প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার সমান। সমানভাবে সব জায়গায় মশার ওষুধ স্প্রে করবেন। বর্তমানে আমরা একটা ভালো মশার ওষুধ দিয়েছি মস্কুবান সলিউশন। সেটা প্রতিটা ওয়ার্ডে পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুদও আছে। কিন্তু ঠিকমতো ওষুধের ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
মেয়র ওয়ার্ডে কর্মরত পরিচ্ছন্ন কর্মীদের হাজিরা নেন এবং পরিচ্ছন্ন কর্মীদের নানাবিধ সমস্যার কথা শুনেন। এসময় ডোর টু ডোর শ্রমিক মো. রহিম বাদশার চোখের সমস্যার কথা শুনে তার চোখের চিকিৎসার দায়িত্ব নেন মেয়র। পাশাপাশি অনিয়মিত পরিচ্ছন্ন কর্মীদের সতর্ক করেন এবং একজনের পরিবর্তে অন্যজনের চাকরি করার কোনো সুযোগ নেই বলে জানান।
ওয়ার্ড সচিবদের সতর্ক করে মেয়র বলেন, বর্তমানে কাউন্সিলর না থাকার কারণে জন্মনিবন্ধন, ওয়ারিশ সনদ এই দুই ব্যাপারে সচিবদের দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। জনসাধারণ যাতে কোনোভাবেই নাগরিক সেবা নিতে এসে হয়রানির শিকার না হয়। কিছু ওয়ার্ড সচিবের উদাসীনতা দেখা যাচ্ছে। আমি অবিলম্বে তাদের সাথে একটা মিটিং করব। যে সব ওয়ার্ড সচিবের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসছে প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বদলিসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পরিদর্শনকালে চসিক সচিব মোহাম্মদ আশরাফুল আমিন, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার লতিফুল হক কাজমি, আইন কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দীন মুরাদ, ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. শরফুল ইসলাম মাহি, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব কুমার শর্মা, মেয়রের একান্ত সহকারী মারুফুল হক চৌধুরী (মারুফ) প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এনইউ/জই