সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

আইনজীবী হত্যায় গ্রেপ্তার ৭ জনের পরিচয় মিলেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যায় যৌথবাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার ৭ জনের পরিচয় মিলেছে।

তারা হলেন- বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটির এলএলবির ৩৬তম ব্যাচের চতুর্থ সেমিস্টারের ছাত্র শুভ কান্তি দাস। চট্টগ্রামের মেথরপট্টি এলাকার বাসিন্দা সুমন নন্দী, হাজারীগলি এলাকার মৃত মনোরঞ্জন দে’র ছেলে বিকাশ দে (৪০), কোতোয়ালির জলসা মার্কেট এলাকার মৃত সুধীর চক্রবর্তীর ছেলে নারায়ণ চক্রবর্তী (৫০) ও বন্দরের নিমতলা এলাকার মানিক দে’র ছেলে মন্টু দে। এছাড়া দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তাহেরের অনুসারী ও শিপিং কোম্পানি চাকরি করা রাজিব ভট্টাচার্য, চট্টগ্রাম বাকলিয়া কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি জিয়া উদ্দিন ফাহিম।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুল কাদের বলেন, ‘ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

এদিকে একটি সূত্র জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডে ধারালো অস্ত্র হাতে সরাসরি অংশ নেয় ১৫ জনের একটি দল। তাদের মধ্যে অন্তত দুইজন নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, চট্টগ্রাম আদালত ভবনের সামনের রঙ্গন কনভেনশন হলের গলিতে পড়ে থাকা আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে বেধড়ক মারধর করছে একদল মানুষ। এদের মধ্যে লাল জামা ও মাথায় হেলমেট পরিধানকারী একজনকে ধারালে অস্ত্র দিয়ে সাইফুলের ঘাড়ে ও পিঠে আঘাত করতে দেখা যায়। নিথর পরে থাকা দেহেও কয়েকজন ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করে।

সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি ও পোস্টমর্টেম অংশ নেওয়া একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছে, আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের পিঠে ও ঘাড়ে দুটি ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এছাড়া ভারী বস্তুর আঘাতে মাথার খুলি ও একটি পা ভেঙে গেছে।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাতভর অভিযান চালিয়ে নগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এনইউ/জই

সর্বশেষ

এই বিভাগের আরও খবর