নগরের বিভিন্ন প্রবেশমুখ ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ড. শাহাদাত হোসেন।
তিনি মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর বাস, মিনিবাস, হিউম্যানহলার অটো–টেম্পো, সিএনজি, বেবী টেক্সি মালিক–চালক ঐক্য পরিষদের সাথে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন।
মেয়র বলেন, সিটি গেট, অক্সিজেন, কালুরঘাট, পতেঙ্গাসহ প্রয়োজনীয় এলাকাগুলোতে জেলা প্রশাসন, রেলওয়ে, গণপূর্ত, রোডস এন্ড হাইওয়ে, চা বোর্ডসহ যেসব সরকারি প্রতিষ্ঠানের অব্যবহৃত বা বেদখলকৃত ভূমি আছে সেগুলোতে টার্মিনাল করা করা হবে।
সভায় চট্টগ্রাম মহানগর বাস, মিনিবাস, হিউম্যানহলার অটো–টেম্পো, সিএনজি, বেবী টেক্সি মালিক–চালক ঐক্য পরিষদ নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে– ব্যাটারি চালিত রিকশা বন্ধ করা, ট্রাফিক বিভাগের হয়রানিমূলক মামলা বন্ধ করা এবং জরিমানার হার ঢাকার সাথে সমন্বয় করা। এছাড়া যত্রতত্র গাড়ি থামিয়ে যানজট তৈরি না করে গাড়ির রুটের শুরুর পয়েন্ট এবং শেষ পয়েন্টে কাগজপত্র চেক করা, ট্রাফিক বিভাগের ‘অসাধু’ সার্জেন্ট–টিআইসহ কর্মকর্তা–কর্মচারীদের মাধ্যমে রুট পারমিট ছাড়া গাড়ি চালানো ও গ্রাম সিএজি ট্যাক্সি শহরে চলাচল বন্ধ করা, পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি বন্ধ করা এবং পর্যাপ্ত পার্কিং চালু করা। পাশাপাশি নগরের বাইরে থেকে আসা বাস–ট্রাক টার্মিনালে না গিয়ে শহরের মধ্যে এসে যানজট তৈরি করছে দাবি করে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান।
জবাবে মেয়র বলেন, যানজটমুক্ত চট্টগ্রাম গড়তে নগরের বিভিন্ন প্রবেশমুখ ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে একাধিক টার্মিনাল প্রয়োজন। কয়েকটা স্পট আমরা দেখেছি। ইঞ্জিনিয়াররা ভিজিট করছেন বিভিন্ন এলাকায়। ট্রাফিক বিভাগের সাথে আমরা বসব। এসময় মেয়র যত্রতত্র গাড়ি দাঁড় করিয়ে যাত্রী না নিতে পরিবহন সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করেন।
নগর ভবনের অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম ও সচিব মো. আশরাফুল আমিন। বক্তব্য রাখেন পরিবহন চালকদের ১৫টি সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক জাফর আহম্মদ, সদস্য সচিব মো. নজরুল ইসলাম, সদস্য সাবেক কাউন্সিলর মো. নাজিম উদ্দিনসহ নেতৃবৃন্দ।
এনইউ/জই