বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশে অনেক রকম সমস্যা আছে। আর সেসব সমস্যার সমাধান না দিয়ে যদি উল্টো সমস্যাকে রাজনৈতিক হাতিয়ার বানিয়ে ফেলা হয় তাহলে আর সমাধান হবে না। তাই সমস্যার সমাধান করতে হবে। সেসব সমস্যার নিয়ে কথা বলতে হবে, চেষ্টা করতে হবে, ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং কাজ করতে হবে।
তিনি শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) বিকালে নগরীর সল্টগুলা ক্রসিংস্থ সীম্যান্স হোস্টেল ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউটে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের কঠিন চীবর দান উৎসব উপলক্ষে ইপিজেড সার্বজনীন বৌদ্ধ বিহার আয়োজিত ধর্মসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এরপর সন্ধ্যায় তিনি মুহুরী পাড়ায় বিএনপির দলীয় কার্যালয় উদ্বোধন করেন।
বাংলাদেশ ভিক্ষু মহাসভার উপ সংঘরাজ সদ্ধর্মবারিধি প্রিয়দর্শী মহাথের এর সভাপতিত্বে ও প্রিয়রত্ন মহাস্থবিরের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রফেসর ড. সুকোমল বড়ুয়া, সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপন, ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ, পাথরঘাটা মহাবোধি বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত পি. লোকানন্দ মহাথেরো। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ইপিজেড সার্বজনীন বৌদ্ধ বিহারের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ জ্ঞানসারথি অধ্যাপক ভদন্ত জ্ঞানরত্ন মহাথেরো। সন্মানিত অতিথি ছিলেন মহানগর জাতীয়তাবাদী বৌদ্ধ ঐক্য ফ্রন্টের আহবায়ক রুবেল বড়ুয়া।
আমীর খসরু বলেন, এখন ধর্মের সওদাগর বের হয়েছে। সওদাগরের কাজ হচ্ছে একটা ধর্মীয় বিষয়কে সামনে এনে বিবাদ সৃষ্টি করে দেওয়া। এতে আবার দুই তিনটা লাভ আছে। একদিকে ধর্মের একটা অংশের সে নেতা হয়ে গেল। আরেকটা হচ্ছে, এদের কারণে যে একটি জাতি কত বড় বিপদের সম্মুখীন হয়, এই লোকগুলো দ্বিতীয়বার চিন্তা করে না। তারা একটি জাতিকে বিভক্ত করে নেতৃত্ব দিতে চায়। সে লাভবান হতে চায়। সত্য মিথ্যার বালাই নেই।
রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা’র কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপির যে ৩১ পয়েন্ট সংস্কারের অনুষ্ঠান, এতে কিছু বাকি নেই। ধর্মের সমাধান আছে, অর্থনৈতিক সমাধান আছে, রাজনৈতিক সমাধান আছে, সামাজিক সমাধান আছে, বিচারের সমাধান আছে। কেউ যদি সেই সমস্যার সমাধান এখন দিতে পারে ভালো। আমরা তো এসব সংস্কারের কথা বলছি। এগুলোর পরে যদি আরো কিছু বাকি থাকে সেগুলো আমরা করব।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়া, জহির উদ্দিন স্বপন, নিপুণ রায় চৌধুরী, এরশাদ উল্লাহ।
এতে প্রধান জ্ঞাতি ছিলেন শীলকূপ জ্ঞানোদয় বিহারের অধ্যক্ষ শিক্ষাবিদ রাহুলপ্রিয় মহাথেরো, প্রধান ধর্মদেশক ছিলেন ত্রিপিটক গবেষক ভদন্ত শাসনবংশ মহাথেরো, মুখ্য সন্ধর্মদেশক ছিলেন সংঘরাজ সারমেধ বৌদ্ধ বিহারের প্রতিষ্ঠাতা এইচ শীলজ্যোতি মহাথেরো, সদ্ধর্মদেশক ছিলেন জ্ঞানরত্ন বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত সত্যজিত মহাথেরো, চট্টগ্রাম সাংঘিক বৌদ্ধ বিহারের ভদন্ত ড. সুমনপ্রিয় থেরো, ইপিজেড সার্বজনীন বৌদ্ধ বিহারের সভাপতি অধ্যাপক জ্ঞান রত্ন মহাথেরো, সাধারণ সম্পাদক ডা: সুমেধ কুমার বড়ুয়া, এস প্রিয়রত্ন থেরো, উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক এম এ আজিজ, এস এম সাইফুল আলম, শাহ আলম, সদস্য নিয়াজ মো. খান, আনোয়ার হোসেন লিপু, ইপিজেড থানা বিএনপির সভাপতি সরফরাজ কাদের রাসেল, সাধারণ সম্পাদক রোকন উদ্দিন মাহমুদ, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রাজিব ধর তমাল, কেন্দ্রীয় সদস্য বিপ্লব পার্থ, মহানগর হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের আহবায়ক অধ্যাপক ঝন্টু কুমার বড়ুয়া, মহানগর জাতীয়তাবাদী বৌদ্ধ ঐক্য ফ্রন্টের সদস্য সচিব কমল জ্যোতি বড়ুয়া, জয়দত্ত বড়ুয়া, সুমন বড়ুয়া, রঞ্জিত বড়ুয়া, সজল বড়ুয়া প্রমুখ।
এনইউ/জই